ফেং শুই হোম টিপস: চীনা বাস্তু শাস্ত্র ফেং শুইতে ফিশ অ্যাকোয়ারিয়ামকে খুব শুভ বলে মনে করা হয়। ঘরে রাখা মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম অনেক সমস্যা থেকে বাঁচায়। মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম রাখার কিছু নিয়ম জেনে নিতে হবে।
ফেং শুইতে কিছু জিনিস খুব শুভ বলে মনে করা হয়। ঘরে এই জিনিসগুলি থাকলে পরিবেশ ইতিবাচকতায় ভরে যায়। ফিশ অ্যাকোয়ারিয়াম এই শুভ জিনিসগুলির মধ্যে একটি। ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্রে ফিশ অ্যাকোয়ারিয়ামকেও খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এটি শুধু ঘরের সৌন্দর্যই বাড়ায় না, ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আনে।
বাড়িতে মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম রাখার উপকারিতা
ঘরে ফিশ অ্যাকোয়ারিয়াম রাখলে ঘরে সবসময় আশীর্বাদ আসে। পরিবারের সদস্যদের আয় বাড়ে। সকলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে কারণ ফিশ অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছগুলি বাড়ির সদস্যদের উপর যে বিপর্যয় আসতে পারে তা এড়ায়। ঘরে টাকা আসতে থাকে এবং বাড়তে থাকে। মাছের অ্যাকোয়ারিয়ামের কোনো মাছ মারা গেলে, মনে করা হয় যে বাড়িতে বিপর্যয় এসে পড়েছে।
মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম রাখার নিয়ম
ফেং শুইতে ঘরে ফিশ অ্যাকুরিয়াম রাখার কিছু নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলি অনুসরণ করা প্রয়োজন, তবেই তারা পূর্ণ সুবিধা পায়।
– বাড়ির পূর্ব, উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে ফিশ অ্যাকোয়ারিয়াম রাখতে হবে। এতে শুভ ফল পাওয়া যায় এবং ঘরে ইতিবাচক শক্তি আসে। মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম কখনোই দক্ষিণ দিকে রাখবেন না।
ফিশ অ্যাকোয়ারিয়ামে কমপক্ষে 9টি মাছ থাকতে হবে। এতে ৮টি মাছ লাল বা সোনালি এবং ১টি কালো হতে হবে। মাছের অ্যাকোয়ারিয়ামে কালো রঙের 1টি মাছ থাকতে হবে। কালো মাছ ঘরকে নেতিবাচক শক্তি থেকে রক্ষা করে।
যদি একটি মাছ মারা যায়, অবিলম্বে ফিশ অ্যাকোয়ারিয়ামে একটি নতুন মাছ দিয়ে প্রতিস্থাপন করুন। অবিলম্বে মৃত মাছ ফেলে দিন। অন্যথায় এই মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির কারণ হবে।
– মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম কখনই রান্নাঘরে রাখা উচিত নয়। রান্নাঘরের স্থানটি আগুনের উপাদানের স্থান। মাছের অ্যাকোয়ারিয়ামে পানি থাকলেও। এমন পরিস্থিতিতে আগুনের উপাদানযুক্ত জায়গায় জল রাখলে ভয়ানক বাস্তু দোষের সৃষ্টি হয়।
– সময়ে সময়ে ফিশ অ্যাকোয়ারিয়ামের পানি পরিবর্তন করতে থাকুন। তা না হলে অশুদ্ধ পানি ঘরে নেতিবাচকতা বাড়াবে এবং মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম রাখলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতি হবে।