জ্বরে মৃত্যু বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে, এখনো পর্যন্ত মৃত ৮

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now
Instagram Channel Follow Now

 

লড়াই ২৪ ডেস্ক: পশ্চিম বর্শিমনের দুর্গাপুরে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪২ জন শিশু । কয়েকদিন ধরেই শহরে বাড়ছে জ্বর , সর্দি , কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা । জেলাগুলোর হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ভর্তির হার । ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে অনেকের অবস্থার অবনতি হতে দেখা গিয়েছে । দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে শিশুদের জন্য ৫৫ টি শয্যা রয়েছে, তার মধ্যে জ্বর , সর্দি এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি ৪২ জন । জানা যায় আক্রান্তের সংখ্যা পরে আরও বাড়তে পারে । দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল বলেন ,“শিশুরা ভাইরাল জ্বর নিয়েই ভর্তি হয়েছে। এক সঙ্গে ৪২ শিশুর জ্বর, সর্দি বিশেষ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। তবু কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছি না আমরা।” । তিনি আরও জানান, শিশু বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করে শিশুদের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।

Read more………………পেট্রোল ডিজেলের বিকল্প জ্বালানি-যানবাহনে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ কেন্দ্রের!

https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMJ-knQswsK61Aw?hl=en-IN&gl=IN&ceid=IN:en

এদিকে, শিশুদের জ্বর নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে এসেছিল পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ওই বিশেষজ্ঞ দল এসে শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ গৌতম দাস বলেন, “জলপাইগুড়ি মহকুমা হাসপাকালে ভর্তি হওয়া শিশুরা সকলেই ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত।”জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে ৪৯ জন শিশুর নমুনা পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গের মেডিকেল কলেজে । রিপোর্টে বলা হয়েছে একজন ডেঙ্গু এবং অন্য জন জাপানি এনকেফলাইটিস জ্বরে আক্রান্ত । আবার উত্তরবঙ্গে ১৩০ জন শিশু ভর্তি রয়েছে ।শিলিগুড়ির শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মৃদুলা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন ,সর্দি কাশির সঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে বাচ্চারা। এটাও একটা ভাইরাল ফিভার। পেট খারাপও হচ্ছে বাচ্চাদের। শিশুর শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে অভিভাবকদের। একটু বড় বাচ্চাদের মাস্ক পরার অভ্যাস করতে হবে। তবে যে শিশুরা মারা গিয়েছে তাদের অন্যান্য সমস্যাও ছিল। ভাইরাল ফিভারে মৃত্যু হার অনেক কম। তবে জ্বরে আক্রান্তদের শিশুদের বেশ কষ্ট হচ্ছে। তিন চার বছর পর এরকম একটা ভাইরাল ফিভারের প্রকোপ হয়।আবার মালদায় শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৬ জন। কোচবিহার দুই দিনাজপুরেও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছ শিশুরা। তবে স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি এর সঙ্গে করোনা র কোনো সম্পর্ক নেই । তাদের প্রত্যেকের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । ইতিমধ্যে চারজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে । এর উপায় জানতে ইন্ডিয়ান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন সদ্বীপ সেনগুপ্ত জানান ,ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ তো রয়েছেই। তার সঙ্গেই স্ক্রাব টাইফাস ও ডেঙ্গুর বিষয়টিকেও মাথায় রাখা হচ্ছে। মশাবাহিত রোগ, ঠান্ডা লাগা, ভাইরাল সংক্রমণের ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতেই হবে। শ্বাসকষ্টের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

Author

এই খবরটা তাঁর সঙ্গে শেয়ার করুন, যার এটা জানা দরকার

Make your comment