লড়াই ২৪ ডেস্ক: বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের আগে জানতে হবে বায়োফ্লক কী? বায়োফ্লক হলো খুব অল্প জায়গায় ফ্লাক তৈরি করে বেশি মাছ উৎপাদনের একটি উদ্দ্যোক্তা প্রকল্প। এটি সমপূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে ভাল আয় করা যায়।
এই পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য খরচ করতে দরকার একটি মোটা পরিমাণ টাকা। জেনে নিন, বায়োফ্লকের হিসেবঃ
আপনি ১০ টি ফ্লক ট্যাংক তৈরি করার জন্য আপনার খরচ হয়েছে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এবার আপনি ১০ টি ট্যাংক এ শিং মাছ ছাড়ুন এবং তা ১ বছর লালন পালন করুন। তারজন্য আবার আপনাকে খরচ করতে হবে এই রকম
• শিং মাছের (উদাহরণ হিসেবে শিং মাছের ব্যবহার করা হল) পোনা ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
• ১ জন কর্মচারীর বেতন ১০ হাজার টাকা হলে ২ জন কর্মচারির বেতন হবে ২০০০০/- হাজার টাকা। তা সারাবছরে ২ জন কর্মচারিকে দিতে হবে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
• বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য বিল একটা এভারেজ এ ধরে নেই ৮০ হাজার টাকা।
• মাছের খাদ্যের জন্য ধরে নেই ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
• মাছের প্রোবায়োটিক ২৫ হাজার টাকা।
Read more…………..Petrol and Diesel price hike: লাগাতর ১৮ দিন, নেই কোনোরকম পরিবর্তন জ্বালানির দামে
তাহলে এক বছরে ১০ টি ফ্লকে মাছ চাষ করতে ব্যায় হবে যথাক্রমে – ২,২০০০০ + ২,৪০০০০ + ৮০,০০০ + ৪,৫০০০০ + ২৫,০০০০/- = ১০ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা মাত্র।
তাহলে আপনার বায়োফ্লক মাছ চাষের ট্যাংক তৈরি ও ১ বছরে মাছ চাষ করতে সর্বমোট ব্যায় হয়েছে:
• বায়োফ্লক ট্যাং তৈরিতে : ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
• বছরে মাছ চাষে ব্যয়: ১০ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
সর্বমোট ১ বছরে ব্যয় = ১৮ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা।
এই মাছ চাষ যেমন কিছুটা খরচসাধ্য তেমনি এর মাধ্যমে হওয়া মুনাফার পরিমাণও অনেকটাই। আপনি এবার ১ বছর পর ১০ টি বায়োফ্লক ট্যাংক থেকে শিং মাছ বিক্রি করবেন। নরমালি একটি ট্যাং থেকে আপনার শিং মাছ উৎপাদন হবে
• ১ টি ট্যাং থেকে উৎপাদন ৩৫০ কেজি।
• ১০ টি ট্যাং থেকে উৎপাদন ৩৫০x১০ = ৩,৫০০ কেজি শিং মাছ।
তাহলে আপনার ১০ টি ট্যাং থেকে সর্বনিম্ন বায়োফ্লক থেকে শিং মাছ উৎপাদন ৩ হাজার ৫০০ কেজি / ৩.৫ টন।