ঠাম্মার কাছে ভূতের গল্প শোনা হয়না ঠিকই, কিন্তু আজও পৃথিবীর বুকে বেঁচে এই পাঁচ পরিত্যক্ত স্থান
নয়াদিল্লি: আজকাল কার দিনে গল্প বলতে সবাই আমরা whats app অথবা messenger এর চ্যাট বক্স কেই বেশি প্রাধান্য দি। তবে, বহু বছর আগে এমনও দিন গেছে যখন সবাই গল্প বলত আর শুনতো এখনকার তুলনায় একটু অন্য রকমভাবে।
কোনো এক ভ্যাপসা গরমের দুপুরে অথবা সন্ধ্যে বেলায় দাওয়ায় বসে ঠাকুরমা, ঠাকুরদার কাছ থেকে নানার মজার ও গা ছমছমে ভূতের গল্প শোনার মজাই ছিল অন্যরকম। সঙ্গে সেই গল্প শোনার তৃপ্তিও ছিল বেশ অনেকখানি।
তবে, ভূতের গল্প শুনতে ভয় লাগলেও মনে মনে কিন্তু সেই গল্পের পরিসমাপ্তি জানার জন্য মনের ভিতর বেশ টানাপোড়েন চলতে থাকতো। কিন্তু, এমন অনেকেই আছেন যারা ভূতে ভয় তো দূরের কথা। ভূত বলে কিছু আছে বলেই মানতে বা বিশ্বাস করতেই চান না।
আবার এমনও কিছু মানুষ আছে যারা রীতিমতো ভূত নিয়ে অর্থাৎ ভূতের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন। বিভিন্ন রহস্যময় জায়গা তারা ভ্রমণ করে চলেছেন।
কিন্তু, পূর্ণ বিশ্বে এমন অজস্র গা ছমছমে ও রহস্যময় স্থান আছে যেখানে যেতে বুক কাঁপে অনেক সাহসীরও। যা ভুতুড়ে স্থান বলে পরিচিত। এমনকি কিছু কিছু জায়গা যা পুরোপুরি পরিত্যক্ত বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
যদিও তার মধ্যে কিছু স্থান খোলা পর্যটকদের জন্য। তবে, কিছু স্থান প্রত্যন্ত ও দুস্প্রবেশ্য। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কোন কোন জায়গা এবং কেনই বা সেগুলি ভূতুড়ে স্থান বলে চিহ্নিত:
১.অর্ফান থিয়েটার: এটি খুলেছিল টাইটানিক ডুবে যাওয়ার দিন। ১৯৫০ এর দশকের শেষ দিকে এর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২.আকারমারা: আবখাজিয়ার শহরে অবস্থিত এই অঞ্চলটি ১৯৯০ এর গোড়ার দিকে পরিত্যক্ত হয়েছিল।বর্তমানে ওই স্থান ভেঙে পড়া অনাবাদী বিল্ডিংয়ে ভরা।
৩.ক্রাকো: এটি দক্ষিণ ইতালির একটি অঞ্চল। ক্র্যাকোতে ধারাবাহিক ভাবে ঘটে যাওয়া কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর বিশ শতকের শেষের দিক থেকে এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
৪.হটেল দেল সালতো: এই বিলাসবহুল হোটেল দেল সালতো তৈরি করা হয় কলম্বিয়ায় ১৯২৩ সালে।বেশ কয়েকটি করুন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এই স্থানটি ভুতুড়ে বলে বিশ্বাস করা হয় এবং পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ১৯৯০ এর গোড়ার দিকে।
৫.মাউন্সেল ফোর্টস্: ইংল্যান্ডের থমাস নদী থেকে এটি বিজ্ঞানের একটি কল্পকাহিনীর মত উত্থিত হয়েছিল। এবং ১৯৫০ এর গোড়ার দিকে এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।