নদী ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে ঘর বাড়ি, অসহায়- নিঃস্ব ধানঘড়াবাসী

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now
Instagram Channel Follow Now

নদী ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে ঘর বাড়ি, অসহায়- নিঃস্ব ধানঘড়াবাসী

মোঃ ইজাজ আহামেদ, মুর্শিদাবাদ: জেলার গঙ্গা ভাঙন এক দীর্ঘদিনের সমস্যা । দীর্ঘদিন থেকে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে এবং ইতিমধ্যেই এই গঙ্গা ভাঙন একটি জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যেক বছর টাকা বরাদ্দের কথা শোনা গেলেও নদীভাঙনের প্রতিরোধের সুরাহা মেলেনা।

https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMJ-knQswsK61Aw?hl=en-IN&gl=IN&ceid=IN:en

গঙ্গার তিনটি গতি উচ্চ গতি, মধ্যগতি, নিম্ন গতি। উচ্চ গতি উৎপত্তি স্থান থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত, মধ্য গতি হরিদ্বার থেকে রাজমহল পাহাড় পর্যন্ত এবং নিম্ন গতি রাজমহল পাহাড় থেকে মোহনা অর্থাৎ বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। নদী নিম্ন গতিতে সঞ্চয় কাজ করে দ্বীপ সৃষ্টি করে। মুর্শিদাবাদ জেলা গঙ্গার নিম্ন গতিতে অবস্থিত হওয়ায় পলি জমে নদীতে ছোট ছোট দ্বীপ অর্থাৎ চড় সৃষ্টি হয়েছে নদীর মধ্যবর্তী জায়গায়। ফলে নদী নাব্যতা হারিয়েছে।

মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জের ধানঘড়া, শিবপুর, প্রতাপগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙন, বিশেষ করে সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপকহারে দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ধানঘড়ার পরিবারগুলো । ইতিমধ্যে অনেকের বাড়ি গঙ্গার অতলে তলিয়ে গেছে এবং অনেকে বাড়ি খালি করে ভেঙে নিয়েছে ইট,জানালা, দরজা রড পাওয়ার আশায়।

স্থানীয় মানুষ মনে করেন, এই নদী ভাঙন প্রতিরোধ করতে নদীর মধ্যবর্তী দ্বীপগুলো ড্রিলিং করে মাটি,বালি এই পাড়ে লাগিয়ে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা দরকার। দরকার নদীর ধার পাথর, কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো। তবে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা যাবে বলে অনেকে মনে করেন। এলাকাবাসীর আর্জি সরকারের কাছে গঙ্গাভাঙনের চিরস্থায়ী সমাধান।

বিশ্বের বেশিরভাগ শহরগুলো নদীর তীরেই অবস্থিত। বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে সেগুলো বাধানোয় ভাঙনের কথা শোনা যায়না। নদী শহরের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করেছে। তাই নদী ভাঙনের দরকার স্থায়ী সমাধান।

Author

এই খবরটা তাঁর সঙ্গে শেয়ার করুন, যার এটা জানা দরকার

Make your comment