স্বাস্থ্য টিপস: পেটে গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হওয়া সাধারণ, তবে এগুলোকে হালকাভাবে গ্রহণ করা ভারী হতে পারে। হজম সংক্রান্ত সমস্যা অনেক গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে।
হজমের সমস্যা: পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা যায়। হজমে ব্যাঘাত ঘটলে পেটে ভারি ভাব শুরু হয়। গ্যাসের কারণে পেটে ব্যথার সমস্যা হয়। পেটে গ্যাস এবং ব্যথার পিছনে কিছু গুরুতর কারণ থাকতে পারে। পেটে গ্যাস তৈরি হওয়ার পেছনে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। স্লিপ অ্যাপনিয়া, হাইপোথাইরয়েডিজম, ফোলাভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাগুলিও পেটে ব্যথা করে।
মলাশয়ের ক্যান্সার
গ্যাস তৈরি হলে পেটে ব্যথার সমস্যাও হয়। পাকস্থলীর ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও একই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। পেটের ক্যান্সার হলে গ্যাস, পেটে ভারী হওয়া, খিঁচুনি এবং ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা যায়। ক্যান্সার থাকলে রেকটাল ব্লিডিং এর সমস্যাও হতে পারে। পাকস্থলীর ক্যান্সারের এই উপসর্গগুলি মারাত্মক প্রমাণ করতে পারে।
হাইপোথাইরয়েডিজম
হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে হজম সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে। এর কারণে পাকস্থলী ও অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা শুরু হয়। এ ধরনের উপসর্গের সঙ্গে গলায় ব্যথার সমস্যা থাকলে তা থাইরয়েড হতে পারে।
নিদ্রাহীনতা
স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা নাকের পরিবর্তে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে নাক ডাকার সময় আমাদের শরীরে বাতাস যায়, যার কারণে পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। প্রতিদিন গ্যাসের সমস্যা হলে তা স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ হতে পারে। এই ধরনের উপসর্গ উপেক্ষা মারাত্মক হতে পারে।
বিরক্তিকর পেটের সমস্যা
এই রোগে পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস এবং ফোলাভাব দেখা যায়। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের কারণে পাচনতন্ত্র খারাপভাবে প্রভাবিত হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।