বৈঠকে যোগদান করছেন রাজ্যপাল Jagdeep Dhankhar
কলকাতা: আজ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বাংলা ও ওডিশার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি খতিয়ে দেখবেন। তারপর সেখান থেকে তিনি যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায়। সেখানে গিয়ে তিনি বিপর্যয়ের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এই অবধি সব কিছুই নির্ধারিত ছিল আগে থেকেই, এবার এতে ঘটেছে এক নতুন সংযোজন। বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদ্বীপ ধনখড়। এবার এই উপস্থিতি নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। রাজ্যপালের উপস্থিতি আপত্তিজনক নয়। তিনি থাকতেই পারেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে এমন নজির প্রথম। রাজ্যপালের এই যোগদান নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে প্রশ্ন উঠছে অনেক। কেউ বলছেন, ‘রাজ্যপালকে কী এই বৈঠকে সাক্ষীগোপাল করা হচ্ছে?’ কারোর আবার বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়েছেন সেহেতু রাজ্যপালকে নেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে’।
‘ইয়াস’ বিধ্বস্ত বাংলা! আজ পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী Modi
আজ সকালবেলাই রাজ্যপাল টুইট করে জানিয়ে দেন, কলাইকুন্ডা এয়ার ফোর্স স্টেশনে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকবেন তিনি। তাছাড়াও আর একটি টুইট মাধ্যমে তিনি ইয়াস মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি তার টুইটে জানান, বিপর্যয় মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছেন তা প্রশংসনীয়। তবে ত্রান পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে সচ্ছ হতে হবে।
উল্লেখ্য, বৈঠকে রাজ্যপালের আসা নিয়ে হাজার চর্চা হলেও, আম্ফানের সময় বিপর্যয় পরবর্তী বৈঠকে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপালকে। তাই সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই বারের বিপর্যয় পরবর্তী বৈঠকে তার উপস্থিতি স্বাভাবিক। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক যে মধুর এমন নয়। এক সরকারী আধিকারিকের দাবি, বৈঠকে পর রাজ্য সরকার আলোচনা মতো কাজ করেন কি না সেই বিষয়গুলির উপর নজর রাখার জন্যই বৈঠকে যোগদান করছেন রাজ্যপাল।