haroa woman dowry case
ফের পণের বলি বধূ। এবার বসিরহাট মহকুমা হাড়োয়া থানার আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝের পাড়া গ্রামের ঘটনা। ১১ বছর আগে মাঝের পাড়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় সিকিউরিটি গার্ড 35 বছরের বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে ন্যাজাট থানার অন্তর্গত ৪ নম্বর বৈষ্ণব পাড়ার বাসিন্দা ২৯ বছরের শ্রাবন্তী দাস এর বিবাহ হয় মোটা টাকা পণের বিনিময়ে।
তাঁদের একটি পুত্র সন্তানও হয়। বর্তমানে যার বয়স 10 বছর। অভিযোগ, বিবাহের পর থেকেই নানান ভাবে অত্যাচার করে চলেছেন। মৃতার পরিবারের দাবি, স্বামী প্রায়ই বলতেন বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে। কিন্তু বধূ না দিতে পারায় তার কপালে জুটতো মার।
তারপরও থামেনি অত্যাচার। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে ছিলেন দুজনে। তারপর হঠাৎ ভোর রাতে দেখা যায় শ্রাবন্তী দাস ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা হাড়োয়া থানায় খবর দিলে ভোররাতে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানাচ্ছেন ময়না তদন্তের পরই জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ। যদিও পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন তাদের মেয়েকে প্রথমে গলাটিপে তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মাঝের পাড়া গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হাড়োয়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। haroa woman dowry case