Delhi High Court case
লড়াই ২৪ : ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ইংরেজরা মুঘলদের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে বন্দি বানিয়ে দেশ থেকে বের করে দেয়। ওনাকে সেই সময় মায়ানমারে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। পরে সেখানেই ওনার মৃত্যু হয়। এরপর ইংরেজরা লাল কেল্লায় নিজেদের কবজা জমায়।
মুঘল সম্রাট বাহদুর শাহ জফরের বংশধরের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট । বাহাদুর শাহ জাফরের বংশধর আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করে দিল্লির লাল কেল্লা তাঁর হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেছিলেন। আবেদনকারী একজন মহিলা। আর তিনি আদালতে নিজেকে বাহাদুর শাহ জাফর (২)-র বংশধর বলে দাবি করেছিলেন। তিনি নিজেকে মুঘল সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী দাবি করে লাল কেল্লাকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেছিলেন।
দিল্লি হাইকোর্টে সুলতানা বেগম নামের ওই মহিলা এই আবেদন দাখিল করেছিলেন। আবেদনে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাঁকে তাঁর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে।আবেদনকারীর আবেদনের পর দিল্লি হাইকোর্টের বিচারক রেখা পল্লী প্রশ্ন করে বলেন, আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য মুঘল সম্রাটের বংশধরদের ১৫০ বছর লাগল কেন?
উনি বলেন, “আমার ইতিহাসের জ্ঞান অনেক কম”। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, সেটা হল, ১৮৫৭ সালে হয়ে যাওয়া অন্যায়ের পর ১৫০ বছর কেন লাগল আদালতে আসতে।পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্ট আবেদনকারীর থেকে মুঘল সম্রাটের বংশধর হওয়ার কোনও প্রমাণও পায়নি।
হাইকোর্ট আবেদনকারীকে বলেছে, ‘আপনি উত্তরাধিকারীর বংশ তালিকা দেখার জন্য কোনও প্রমাণও পেশ করেন নি।” বিচারক বলেন, সবাই জানেন যে, ১৮৫৭ সালে বাহাদুর শাহকে বন্দি বানিয়ে মায়ানমারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ওনার আর কোনও বংশধর আদালতে আবেদন জানায় নি, তাহলে আপনি কেন?। দিল্লি হাইকোর্টে সুলতানা বেগম নামের ওই মহিলার আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
Delhi High Court Case