অ্যানোরেক্সিয়ার লক্ষণ: কিছু লোক সারাদিন ক্ষুধার্ত বোধ করে না বা কিছু লোক অভিযোগ করে যে তারা কোনও খাবারের স্বাদ পায় না। এটি একটি গুরুতর রোগের লক্ষণ, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটির চিকিৎসা করুন।
অ্যানোরেক্সিয়া চিকিত্সা: আপনি কিছু লোকের সামনে যতই দুর্দান্ত থালা রাখুন না কেন, তারা তা খাওয়া থেকে বিরত থাকে। অনেকে কিছু খায় কিন্তু খাবারের স্বাদ পায় না। আপনি বা আপনার বাড়ির কেউ যদি এমন সমস্যার সম্মুখীন হন, তবে আসুন আমরা আপনাকে বলি যে এটি অ্যানোরেক্সিয়া নামক একটি গুরুতর রোগের লক্ষণ। এতে খেতে ভালো লাগে না এবং ব্যক্তির ক্ষুধাও কম লাগে। এতে খাবারের স্বাদ কমতে শুরু করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা এই রোগে ভোগেন, তাদের মস্তিষ্কেও অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। এমন মানুষ খেয়ে মন ক্লান্ত হয়ে যায়। এই রোগটি ক্ষুধা হ্রাস, পেটের সমস্যা, বদহজম, আনাড়ি জীবনযাপন, খাবারের মধ্যে নাস্তা, মানসিক চাপ বা যেকোনো দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হতে পারে। আসুন জেনে নেই এই সমস্যার সমাধান কি।
ত্রিকাতু চূর্ণ ব্যবহার করুন
আপনার বাড়িতে যদি কারও এই ধরনের সমস্যা থাকে, তাহলে ত্রিকটু চূর্ণ তার জন্য ওষুধ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। তিনটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ মিশিয়ে ত্রিকাতু চূর্ণ তৈরি করা হয়। এর প্রস্তুতিতে পিপলি, কালো মরিচ এবং শুকনো আদা ব্যবহার করা হয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী প্রমাণিত হয়। এটি গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। এটি মধু বা গরম জলের সাথে সেবন করলে এর প্রভাব আরও বৃদ্ধি পায়।
তেঁতুল ও লবণ ব্যবহার করুন
জানলে অবাক হবেন, তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা এক ধরনের মানসিক রোগ। তেঁতুল এবং লবণ এই রোগে খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এক চামচ তেঁতুলের গুঁড়া ও লবণ চেটে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে আপনার রুচির অভাবের সমস্যা দূর হয়। এছাড়া এই রোগেও আদা খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। আদকর ব্যবহারে আপনার হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খাবার খাওয়ার পর এক চা চামচ লেবুর রস, নুন ও আদা (এক টুকরো) মিশিয়ে খেলে পেটের সমস্যা দূর হয়।