ফুলকপির অপকারিতা: ফুলকপি বেশিরভাগ মানুষই শৌখিন হয়ে খান। ফুলকপি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও কিছু রোগে তা ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। আসুন জেনে নেই কোন কোন মানুষের ফুলকপি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
ফুলকপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: ফুলকপির মতো সবজি আমাদের বাড়িতে প্রতিদিন তৈরি হয়। কখনও ফুলকপি ব্যবহার করা হয় পরোঠা, কখনও আচারের মতো খাবার তৈরিতে। এটি দেখতে শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী বলে বিবেচিত হয়। ফুলকপিতে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি অনেক রোগেও উপকারী, তবে এই ফুলকপি কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। কিছু স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতিতে, ফুলকপিতে উপস্থিত কিছু পুষ্টি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। এই ধরনের লোকদের ফুলকপি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। আসুন জেনে নেই কোন কোন মানুষের ফুলকপি খাওয়া উচিত নয়।
হজমের সমস্যায়
গ্যাস, ফুলে যাওয়া এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে ফুলকপি খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। ফুলকপিতে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট সহজে হজম হয় না এবং সমস্যা বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ফুলকপি না খাওয়াই উপকারী।
কিডনিতে পাথর আছে
কিডনিতে পাথর হলে ভুল করেও ফুলকপি খাওয়া উচিত নয়। ফুলকপি পাথরের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকে যা পাথরকে উৎসাহিত করে।
থাইরয়েড সমস্যা আছে
থাইরয়েডে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে ফুলকপি। ফুলকপি খেলে T3 এবং T4 হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা থাইরয়েড বাড়ায়। থাইরয়েড রোগে ফুলকপি খাওয়া ভারী হতে পারে।
সংযোগে ব্যথা
জয়েন্টগুলোতে ব্যথা এবং ফোলাভাব হওয়ার পেছনে শরীরে উচ্চ পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড থাকতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে ফুলকপি খাওয়া উচিত নয়। এ অবস্থায় ফুলকপি ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে এবং সমস্যা বাড়তে পারে। এতে জয়েন্টে ফোলা ও ব্যথার সমস্যা বাড়তে পারে।
যখন রক্ত ঘন হয়
ফুলকপি খাওয়ার কারণে রক্ত ঘন হতে পারে। রক্ত সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে ফুলকপি খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। রক্ত সঞ্চালন চাপ এবং রক্তচাপের সমস্যা আছে এমন পরিস্থিতিতে ফুলকপি খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
স্তন্যদানকারী নারী
স্তন্যদানকারী মহিলাদের ফুলকপি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ফুলকপি খাওয়ার কারণে তাদের বাচ্চাদের ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে যেসব শিশু মায়ের দুধ পান করে তাদের পেটে ব্যথা হতে পারে।