স্বাস্থ্যকর ডায়েট: আপনি যদি দিনের বেলা অফিসে কাজ করার সময় ঘুম বা অলস বোধ করেন তবে এই খবরটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। অলসতার পেছনে কারণ হতে পারে সকালের নাস্তা। আজকে আমরা আপনাদের বলবো সকালে কি কি এড়িয়ে চলা উচিত।
স্বাস্থ্য টিপস: সকালের শুরুটা যদি ফ্রেশ হয়, তাহলে সারাদিন আমাদের ভালো লাগে। কিন্তু সকালের শুরুটা ভালো না হলে সারাদিন ক্লান্ত লাগে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক সময় সারাদিন অকেজো হয়ে যায়। আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে অনেকেই সকালে রুটি, বিস্কুট, রাস্ক বা সিরিয়াল জাতীয় জিনিস খান। তারা মনে করেন এটি স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর। কিন্তু সব জিনিসেই প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। এগুলি খাওয়ার পরে অলস বোধ করা।
সকালে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাবেন না
আসুন আপনাকে বলি যে দিন শুরু করার জন্য আপনার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জিনিস খাওয়া উচিত। এটি আপনাকে সারাদিন এনার্জী বোধ করে। সকালের নাস্তায় ফল, শুকনো ফল, সালাদ, প্রোটিন গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে সকালের নাস্তায় কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন আসুন জেনে নেওয়া যাক।
কার্বোহাইড্রেট খাবেন না কেন?স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কার্বোহাইড্রেট দিয়ে দিন শুরু করা উচিত নয়। আসলে, কার্বোহাইড্রেট ইনসুলিন সংবেদনশীলতা কমায়, যা পেটের চর্বি বাড়ায়। এ ছাড়া লেপটিনের সংবেদনশীলতা কমে যায় এবং আমরা অস্বস্তি ও ক্লান্ত বোধ করি। কার্বোহাইড্রেট খাওয়া ঘেরলিন প্রতিক্রিয়াকেও দুর্বল করে দেয়, যা ক্ষুধার দিকে নিয়ে যায়। এমন অবস্থায় তারা অস্বাস্থ্যকর জিনিস খায়। যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
কীভাবে দিনটি স্বাস্থ্যকরভাবে শুরু করবেন
আপনি যদি দিনটি ভালোভাবে শুরু করতে চান, তাহলে ঘুম থেকে ওঠার পর তামার পাত্রে পানি পান করুন। এরপর শুকনো ফল যেমন বাদাম, আখরোট বা ভেজানো ছোলা খেতে পারেন। এ ছাড়া সকালের নাস্তায় ফলের সঙ্গে কিছু পানীয় অন্তর্ভুক্ত করুন। এর জন্য মরিঙ্গা জল, আঠা কাতির জল বা মেথি বীজ জল অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।