হৃদরোগের ঝুঁকি: আজকাল অনেক মানুষ হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যাচ্ছে, তাই এই রোগটিকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত, শরীরের কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তন হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে।
হৃদরোগের সতর্কীকরণ চিহ্ন: হার্ট আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যতক্ষণ এটি সঠিকভাবে কাজ করতে থাকবে ততক্ষণ আমাদের জীবন স্বাভাবিকভাবে চলবে। হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর, করোনারি আর্টারি ডিজিজ এবং ট্রিপল ভেসেল ডিজিজের কারণে ভারতসহ সারা বিশ্বে বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। আমাদের দেশে তৈলাক্ত ও মিষ্টি খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি, যার কারণে কোলেস্টেরল বেড়ে যায় এবং তখন হার্ট দুর্বল হতে থাকে। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই সময়মতো হার্টের সমস্যা চিনতে হবে, অন্যথায় আপনার জীবন বিপদে পড়তে পারে। আসুন জেনে নিই হার্ট দুর্বল হয়ে পড়লে আমরা কী ধরনের সংকেত পাই।
হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতার লক্ষণ
1. হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি হৃৎপিণ্ডের
স্বাস্থ্য আমাদের হৃদস্পন্দনের গতির দ্বারা জানা যায়, তাই ডাক্তার প্রায়শই তার স্টেথোস্কোপ দিয়ে হৃদস্পন্দনের অবস্থা শনাক্ত করেন, সাধারণত আমাদের হৃৎপিণ্ড এক মিনিটে 70 থেকে 80 বার স্পন্দিত হয়, যদিও শারীরিক ক্রিয়াকলাপ তার বৃদ্ধি পায়। এই সময় স্বাভাবিক। যদি আপনার হার্ট বিট স্বাভাবিক অবস্থায়ও 100 ছাড়িয়ে যায়, তবে এটি গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে, এমন পরিস্থিতিতে বুঝুন আপনার হার্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে।
2. শরীরের প্রথম দিকে ক্লান্তি
প্রায়শই অনেক তরুণ-তরুণী কাজ করার পরে দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন, এমন পরিস্থিতিতে আপনার হার্ট দুর্বল হয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আসলে শিরায় ব্লকেজ হলে শরীরের প্রতিটি অংশে ঠিকমতো রক্ত পৌঁছায় না, যার কারণে দ্রুত দুর্বলতা আসতে শুরু করে।
বুকে ব্যথা
দুর্বল হার্টের মতো নির্দেশ করে, এটিকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত এবং অবিলম্বে একজন ভাল ডাক্তারের কাছে দেখানো উচিত। আসলে ধমনীতে কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি হলে রক্তকে হৃৎপিণ্ডে পৌঁছতে প্রচুর শক্তি প্রয়োগ করতে হয়, যার কারণে বুকে ব্যথার অভিযোগ থাকে।