ফের নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, কমলা সতর্কতা জারি দক্ষিণবঙ্গে
নতুনভাবে তৈরি নিম্নচাপের প্রভাবে ২৪, ২৫, ২৬ অগস্ট দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। যা নবান্নের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতেই পুকুর, খাল বিল জলে ভর্তি হয়ে রয়েছে।
বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর জলও বাড়ছে। কারণ ঝাড়খণ্ডের জল নীচে বইতে শুরু করলে এ রাজ্যের নদীগুলিতে জল আগামী দু’তিন আরও বাড়বে। তার উপর আবার একটি নিম্নচাপ ধাক্কা দিলে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি আসন্ন বলে উদ্বেগে রয়েছেন নবান্নের কর্তারা।
রবি-সোমবার যে নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে, সেটি দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়েই ঝাড়খণ্ড যাবে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি অনেক বেশি বৃষ্টি পাবে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। ঝাড়খণ্ডেও বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে পারে। যা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে , রবিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে বলে আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা জানিয়েছেন।
দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলা আগামী সোম ও মঙ্গলবার আরও বেশি বৃষ্টি পাবে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির জন্য কমলা সতর্কবার্তা জারি করেছে হাওয়া অফিস। যার পরিমাণ ২৪ ঘণ্টায় ২০০ মিলিমিটারও হতে পারে।
বুধবারেও পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলার জন্য বৃষ্টির কমলা সতর্কবার্তা থাকছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপটির জেরে সবথেকে বেশি বৃষ্টি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভালো মাত্রায় বৃষ্টি পাবে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি সহ দক্ষিণবঙ্গের আরও কয়েকটি জেলা। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে। তবে কিছুটা কম পরিমাণে বৃষ্টি পেতে পারে মুর্শিদাবাদ, নদীয়া ও বীরভূম জেলা।
দামোদর অববাহিকায় মঙ্গলবার বেশি বৃষ্টি হবে বলে আবহাওয়া দফতর ডিভিসি কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক করেছে। অতিবৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ডিভিসি কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত ১০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছিল। সেটা বাড়িয়ে ২৩ হাজার কিউসেক করা হয়েছে।