গত কয়েক বছরে ৪০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বাড়ছে কেন?

মানুষের হার্ট কি বিপদে আছে? হৃদপিণ্ড কি এখন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে? আবারও, সারা দেশ থেকে হৃদরোগে মৃত্যুর ছবি আসতে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রের সদাশিবে এক বিদায়ী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ২০ বছর বয়সী এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে হায়দ্রাবাদে ক্রিকেট খেলতে খেলতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একইভাবে, উত্তর প্রদেশের বরেলিতে, এক যুবক তার ২৫তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করার সময় মারা গেছেন। কেন আমার হার্ট বারবার আমাকে প্রতারিত করছে? এই হার্ট অ্যাটাকের কি আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে কোনও সম্পর্ক আছে?

মহারাষ্ট্রের ধারাশিবের শিন্দে কলেজে বিদায় অনুষ্ঠান চলছিল। এসময় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন বর্ষা খারাত। সবকিছু স্বাভাবিক ছিল কিন্তু হঠাৎ বর্ষা মঞ্চে পড়ে যায়। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়ে যায়। চিকিৎসকদের মতে, বর্ষার মৃত্যু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হয়েছে। ২০ বছর বয়সী বর্ষার মৃত্যু মর্মান্তিক।

দ্বিতীয় ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে হায়দ্রাবাদ থেকে। যেখানে ক্রিকেট খেলতে খেলতে হঠাৎ এক যুবকের মৃত্যু হয়। হায়দ্রাবাদের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ২১ বছর বয়সী বি.টেকের ছাত্র বিনয় কুমার ক্রিকেট খেলছিল। হঠাৎ তার হার্ট অ্যাটাক হয় এবং বিনয় তৎক্ষণাৎ মারা যায়। যেখানে বিনয় সম্পূর্ণ ফিট ছিল।

তৃতীয় ঘটনাটি দেখা গেছে উত্তর প্রদেশের বরেলিতে, যেখানে একটি বিয়ের ২৫তম বার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছিল। সবাই এতে খুশি হয়েছিল। ওয়াসিম তার বিয়ের রজতজয়ন্তী উদযাপনের জন্য একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। ওয়াসিম এবং তার স্ত্রী ফারাহ নাচছিলেন। হঠাৎ নাচতে নাচতে মেঝেতে পড়ে যান ওয়াসিম এবং মারা যান।

এদিকে, বুলন্দশহরে, রাষ্ট্রীয় লোক দলের নেতা অমিত চৌধুরী তার বাড়ির বাইরে হাঁটছিলেন। হঠাৎ সে মাটিতে পড়ে মারা গেল। ২৮ বছর বয়সী অমিত চৌধুরী যথারীতি ভোরে হাঁটতে বের হন এবং এই সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।

আবহাওয়ার পরিবর্তন কি এর কারণ হয়ে উঠছে?

গত কয়েকদিন ধরে উত্তর ভারতে তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ডাক্তাররা বিশ্বাস করেন যে আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনাও বেড়েছে।

একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালের পর, ৪০ বছরের কম বয়সী তরুণদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা দেখা গেছে। গত ১০ দিনের মধ্যে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর এই চারটি ছবিতে দেখা গেছে, মারা যাওয়া বেশিরভাগ মানুষের বয়স ৩০ বছরের কম এবং সকলেই সুস্থ ছিলেন কিন্তু যেভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা হার্ট অ্যাটাকের কারণে। এটি উদ্বেগ এবং হতবাক করার বিষয়।