দিল্লি- প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই মাত্র ১৫ বছর বয়সে পেয়েছিলেন বিমান ওড়ানোর লাইসেন্স। ২০১১ সালে দেশের সর্বকনিষ্ঠ পড়ুয়া পাইলট হয়ে নজির গড়েছিলেন তিনি। প্রথম মহিলা পাইলট হিসেবে আর একবার তাঁর নাম উঠে আসল কাশ্মীরি কন্যা আয়েশা আজিজ – এর নাম। ২৫ বছর বয়েসি এই কন্যা এখন সন্ত্রাস কবলিত উপত্যকার মেয়েদের কাছে উজ্জ্বল অনুপ্রেরণার উৎস।
২০১১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে কনিষ্ঠতম শিক্ষানবিশ বিমানচালক হিসেবে লাইসেন্স অর্জন করার পরে ২০১২ সালে রাশিয়ার সোকোল বিমানঘাঁটি থেকে মিগ-২৯ জেট উড়িয়ে রেকর্ড গড়েন আয়েশা। এরপর তিনি বম্বে ফ্লাইং ক্লাব থেকে উড়ানশিক্ষায় স্নাতক হন এবং ২০১৭ সালে বাণিজ্যিক লাইসেন্স পান।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আয়েশা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে প্রভূত উন্নতি করেছেন কাশ্মীরের মেয়েরা। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁদের প্রবল অগ্রগতি সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত নবীন পাইলট।
তাঁর কথায়, ‘খুব ছোটবেলা থেকে ভ্রমণের প্রতি আকর্ষণ এবং বিমানসফরের উত্তেজনাই আমাকে এই পেশা বেছে নিতে সাহায্য করেছে।এত মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়। এই কারণেই বিমানচালক হতে চেয়েছিলাম। ন’টা-পাঁচটা অফিস করার চেয়ে এই পেশা অনেক বেশি ঝুঁকিবহুল। এই কাজের কোনও বাঁধাধরা গতিপথ নেই এবং সর্বদা নতুন জায়গা, রকমারি আবহাওয়া আর নতুন মানুষদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়। এই পেশায় মনের জোর থাকা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মাথায় রাখতে হয় ২০০ যাত্রীর দায়িত্ব আমারই উপরে, তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়াটা খুব বড় একটা দায়িত্ব।”
তিমি জানান তাঁর বাবা-মায়ের সমর্থনের কথাও। বাড়ির লোক তাঁর পাশে না দাঁড়ালে তিনি যে আজ এই জায়গায় পৌঁছতে পারতেন না তিনি।