হারায়নি মানবিকতা, হনুমানকে ভাত খাইয়ে নিঃস্বার্থ ভালবাসার নজির গড়ল দাস পরিবার
বীরভূম: দিন কয়েক আগে কেরলে হাতির মৃত্যুর ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। নির্মমভাবে গর্ভবতী হাতিকে ‘হত্যা’র প্রতিবাদে সরগরম হয়েছিল নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা। তবে শুধুই তো হাতি নয়, কখনও ভাম মেরে খাওয়া তো কখনও নৃশংসভাবে কুকুর ‘খুনে’র ঘটনা শিরোনামে উঠে এসেছে।
সমাজের কিছু মানুষ নিরীহ জন্তুদের প্রতি কতটা হিংস্র, তা দেখে শিউরে উঠেছেন পশুপ্রেমীরা। কিন্তু মঙ্গলবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি খুব সহজভাবে যেন বিরাট বার্তা দিচ্ছে সেই নির্মম সমাজকে। নিষ্ঠুর-স্বার্থপর জগতে মানবিকতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে উঠেছে হনুমানের প্রতি মানুষের এই নিঃস্বার্থ ভালবাসা।
থালায় ভাত মেখে হাতে করে খাইয়ে দিচ্ছেন এক মাঝ বয়সি মহিলা। গলায় যাতে ভাত না আটকে যায়, তার জন্য জলও এগিয়ে দিচ্ছে। আর বাধ্য সন্তানের মতো টেবিলের উপর বসে খেয়ে চলেছে একটি হনুমান। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। একটি হনুমানকে খাওয়াতেই এতো আয়োজন।
এই দৃশ্য অন্য কোথাও না, এ দৃশ্য এই বাংলারই। সোশ্যাল মিডিয়ায় হনুমানের ভুঁড়িভোজের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়োচ্ছে বাঙালি পরিবারটি।
বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের চাঁদ দাস মিনিট দুয়েকের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, টেবিলের উপর বসে একটি হনুমান। তাকে ডাল-তরকারি দিয়ে ভাত মেখে অত্যন্ত যত্ন সহকারে খাইয়ে দিচ্ছেন চাঁদ দাসের মা।
ঠিক যেমন মা তাঁর সন্তানকে খাওয়ান। বাঁদরটিও বেশ তৃপ্তি করেই খাচ্ছে। পাশে আবার খাওয়ার জলও রাখা। তাদের থেকে খানিকটা দূরে সেই ঘরেই বসে রয়েছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। চাঁদের মায়ের হনুমানের প্রতি ভালবাসা দেখে খুশি সকলেই।
ভিডিওটি পোস্ট হওয়ার পর মাত্র ২৪ ঘণ্টায় তা সাত লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন। শেয়ারও হচ্ছে হু হু করে। নেটিজেনদের মন জয় করেছে দাস পরিবারের ‘জীবে প্রেম’। অনেকেই লিখেছেন, এখনও যে মানবিকতা শেষ হয়ে যায়নি, তারই প্রমাণ এই ভিডিও।