মানবসেবায় জ্যাকলিন, করোনা আবহে দু’টি গ্রামের দায়িত্ব নিলেন অভিনেত্রী
মুম্বাই: বলিউড বিতর্ক অনেক। তবে সবটাই কিন্তু খারাপ নয় তা দেখিয়ে দিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। সবাই যখন একে অপরকে দুষতে ব্যস্ত, তখন আগামী তিন বছরের জন্য মহারাষ্ট্রের প্রত্যন্ত ২টি গ্রামের দায়িত্ব অভিনেত্রী তুলে নিলেন নিজের কাঁধে। একেবারে যেন দত্তক নেওয়ার মতোই!
মহারাষ্ট্রের পাথারডি এবং সাকুর নামে ওই দুটি গ্রামের সবমিলিয়ে মোট দেড় হাজার বাসিন্দার প্রত্যেকের অন্নসংস্থানের দায়িত্ব নিলেন জ্যাকলিন। গত ১১ আগস্ট ছিল অভিনেত্রীর জন্মদিন। আর সেই উপলক্ষেই দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর সংকল্প করেছেন তিনি।
ওই দুই গ্রামের অনেকেই অপুষ্টির শিকার। টাকাপয়সা নেই। অনেকের বাড়িতেই দুবেলা হাড়ি চড়ে না পয়সার অভাবে। উপরন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে চলা এই অতিমারীর তাণ্ডবে আরই যেন ধুঁকতে হচ্ছে তাঁদের।
ওষুধপাতি, ডাক্তার-বদ্যি তো দূরের কথা, পুষ্টিকর খাবার অবধি জোটে না। ফলস্বরূপ রোগে ভোগেন। সেকথা জানতে পেরেই জ্যাকলিনের এমন অভিনব উদ্যোগ।
জ্যাকলিনের কথায়, “অনেক দিন ধরেই এমন একটা পরিকল্পনা ছিল যে দুস্থদের পাশে দাঁড়াব। আর এখন অতিমারীর প্রকোপে অনেকেরই খারাপ অবস্থা। আমরা ভাগ্যবান যে, প্রাথমিক চাহিদাগুলো নিয়ে আমাদের ভাবতে হয় না, কিন্তু সমাজের একটা শ্রেণি রয়েছে, যাঁরা খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
আর তাই পাথারডি এবং সাকুর গ্রামের দেড় হাজার মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার কথা ভেবেছি। আগামী ৩ বছরের জন্য ওই গ্রামের মানুষদের অন্ন সংস্থানের পাশাপাশি, শিশুরা যাতে অপুষ্টিতে না ভোগে, সেদিকে নজর দেওয়া হবে।”
সদ্যোজাতদের কীভাবে দেখভাল করতে হয় কিংবা নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনার প্রচারের জন্য গ্রামেরই ১৫০ জন মহিলাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রথম সারির যোদ্ধাদের মধ্যে ৭জনকেও বেছে নেওয়া হয়েছে এই কাজের জন্য।