লড়াই ২৪ ডেস্ক: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দেশে দৈনিক কোভিড সংক্রমণের পরিসংখ্যান। দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ৮০৬ জন। এই সময়কালে মৃত্যু হয়েছে ৫৮১ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৯ হাজার ১৩০ জন। দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩২ হাজার ৪০ জন। করোনামুক্ত ভারত তৈরিতে প্রয়োজন দ্রুত টিকাকরণ এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। দেশে এখনো পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন ৩৯ কোটি ১৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৪৯১ জন।
আরও পড়ুন…………করোনার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন, হিল স্টেশনে উপচে পড়ছে ভিড়, সতর্কবার্তা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
প্রসঙ্গত, করোনার আসন্ন তৃতীয় ঢেউ রুখতে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্র। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি পাঠান। এই চিঠি পাঠানোর তালিকায় নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেরও। চিঠিতে করোনার বিধিনিষেধ সম্পর্কে একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয় রাজ্যগুলিকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পালন হচ্ছে না কোভিডবিধি। বিশেষত, গণপরিবহণ ও পর্যটন স্থলগুলিতে দেখা যাচ্ছে মানুষের কোভিডবিধি সম্বন্ধে অসচেতনতা। বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই চলছে জনসমাগম। এর জেরে সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী।
অজয় ভাল্লা এই কোভিডবিধি প্রসঙ্গে মুখ্যসচিবদের আরও কিছু পরামর্শ দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, অবিলম্বে রাজ্যগুলিতে চিহ্নিত করতে হবে হটস্পটগুলি। এছাড়াও বাড়াতে হবে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে কোভিডবিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে। দ্রুততা আনতে হবে টিকাকরণ ও করোনা পরিক্ষায়।
সংক্রমণ খানিক নিম্নগামী হতে না হতেই পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল নেমেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই প্রতিটি দৃশ্য। মানুষের অসচেতনতা যে কোন বিপদ ডেকে আনছে, তা কেউ জানে না। এই প্রসঙ্গে উদ্বেগের সুর শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কণ্ঠেও।
এর আগে উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি প্রতিটি রাজ্যকে করোনা বিধিনিষেধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন। পাহাড়ে বেড়ে চলা পর্যটকদের ভিড় নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।