প্যাঙ্গং এলাকায় সেনা বাড়াচ্ছে ভারত, কৌশলগত পদক্ষেপে চিনের থেকেও এগিয়ে তারা
কাশ্মীর: প্যাঙ্গং হ্রদের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে চিনের লাল ফৌজ। ওই এলাকায় ভারতীয় সেনারা টহল দেয়। সেখানে নিজেদের ঘাঁটি তৈরির চেষ্টায় ছিল চিনের বাহিনী।
ভারতীয় সেনা জানাচ্ছে, প্যাঙ্গং হ্রদের উত্তর প্রান্তে এতদিন তৎপর ছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। তবে, এবার তাদের চোখ পড়েছে দক্ষিণ সীমাতেও। তাই গোটা প্যাঙ্গং এলাকাতেই সেনার সংখ্যা আরও বাড়াচ্ছে ভারত।
আর সেই সঙ্গে নামানো হচ্ছে যু্দ্ধট্যাঙ্ক। শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে তৈরি রয়েছে বায়ুসেনাও। চিন ফের জমি দখলের চেষ্টা চালালে প্রবল শক্তি দিয়ে তা রুখে দেবে ভারতীয় বাহিনী।
ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেখে চিনের বায়ুসেনা (পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স) রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক এস-৩০০ ও এস-৪০০ এয়ার ওয়েপন সিস্টেম মোতায়েন করেছে।
তবে, ভারতীয় বায়ুসেনাকে টক্কর দেওয়া অত সহজ নয়। ভারত অনেক আগে থেকেই পূর্ব লাদাখ সীমান্তে আকাশসীমাকে সুরক্ষিত রাখার কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছে।
এছাড়া, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুই দেশের বাহিনীর মুখোমুখি সংঘাতের আগে থেকেই লাদাখে টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা শুরু করেছিল ভারতীয় বাহিনী। সেই সঙ্গে সুখোই, মিরাজ, মিগ-২৯ এর যুদ্ধবিমানও তৈরি রাখা হয়েছে। নামানো হয়েছে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ও সশস্ত্র হেরন ড্রোন।
ভারতীয় সেনা জানাচ্ছে, ১৪ হাজার থেকে ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় গালওয়ান উপত্যকায় যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করা ও রণকৌশলের দিকে থেকে চিনা বাহিনীর থেকে অনেকটাই এগিয়ে ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনা।
কেননা,চিনা বাহিনীকে বহুদূর থেকে সামরিক সরঞ্জাম বয়ে আনতে হচ্ছে। অথচ পূর্ব লাদাখের কাছেই পঞ্জাব, হরিয়ানা, কাশ্মীর, লেহ-সহ ভারতের একাধিক এয়ারবেস রয়েছে যেথান থেকে সামরিক সরঞ্জাম উড়িয়ে আনা অনেক বেশি সহজ।
তবে চিনের হোটান এয়ারবেস থেকে দুটি জি-২০ স্টিলথ এয়ারক্রাফ্টকে প্যাঙ্গং এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। লাদাখ সীমান্তের কাছেও সামরিক পরিকাঠামো তৈরির চেষ্টা করছে লাল ফৌজ।
ভারতীয় সেনা জানাচ্ছে, কৌশলগত পদক্ষেপে চিনের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে ভারত। চিনের বাহিনী ঠিক কোন কোন পয়েন্টে ঝামেলা বাঁধাতে পারে তার আগাম আঁচ করেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আগে থেকেই মজবুত করে রাখা হয়েছে।