নয়াদিল্লি: চিনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিস্থিতিতে বুধবার পাঁচটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ভারত পৌঁছেছে। এই রাফায়েল যুদ্ধ বিমানের আগমনে ভারতীয় বায়ু সেনার শক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখন ভারতীয় নৌবাহিনী অপেক্ষা করছে এমএইচ -60-রোমিও হেলিকপ্টারটির জন্য। যা নিঃসন্দেহে নৌবাহিনীর শক্তি বাড়িয়ে তুলবে।
দক্ষিণ চিন সাগরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা এই হেলিকপ্টারটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতকে দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
এই ফাইটার হেলিকপ্টারটি তৈরি করা আমেরিকান সংস্থা লকহিড মার্টিনের আধিকারিক উইলিয়াম এল ব্লেয়ার দ্য ট্রিবিউনের সঙ্গে একটি স্বাক্ষাতকারের ফাঁকে এই কপ্টারটির বিষয়ে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিদেশি সামরিক সেলের মাধ্যমে আমেরিকা এই হেলিকপ্টারটি ভারতকে তুলে দেবে।
চলতি বছরে নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির জন্য ২৪ টি হেলিকপ্টারের ব্যাপারে চুক্তি করা হয়েছিল। এই হেলিকপ্টারগুলির মাধ্যমে নৌবাহিনীর শক্তি কয়েক গুণ বৃদ্ধি হবে এবং রাতেও নৌবাহিনী অপারেশন পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। এই হেলিকপ্টারটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এটি কেবলমাত্র সমুদ্রে থাকা জাহাজ না, জলের তলার সাবমেরিনকেও নিশানা করতে পারে।
এই হেলিকপ্টারটি ক্ষেপণাস্ত্র, টর্পেডো এবং সেন্সর প্রযুক্তিতে সজ্জিত এবং মার্কিন নৌবাহিনীও এটি ব্যবহার করে। এই হেলিকপ্টারটিতে এজিএম -144 হেলফায়ার অ্যান্ডি সারফেস মিসাইল, সাবমেরিনকে আক্রমণের জন্য এমকে ৫০ টর্পেডো এবং ৭.৬২ এমএন মেশিনগান রয়েছে ।
সর্বাপেক্ষা দারুণ ব্যাপার হল, এই হেলিকপ্টারটি রাতে অপারেশন এবং টহল দেওয়ার জন্য উপযুক্ত। দু’জন পাইলট নিয়ে এই হেলিকপ্টারটি রাতের অন্ধকারেও টার্গেটে হামলা চালাতে পারে। এতে ১০ জন সেনার বসার ব্যবস্থাও থাকবে।