অমানবিক! বাড়ি না ছাড়ায় করোনা যোদ্ধার উপর হামলা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের
নরেন্দ্রপুর: গোটা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনা। আর এই পরিস্থিতিতে করোনা যোদ্ধা তথা আক্রান্তদের প্রতি সাধারণ মানুষের অমানবিকতার ঘটনা যেন প্রতিদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু তাই বলে পরিবারের সদস্যরাও করোনা যোদ্ধাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চাইবেন? আর বাড়ি না ছাড়ায় তাঁকে মারধর করা হবে? হ্যাঁ, বাস্তবে এমন ঘটনাও এবার ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের ফরতাবাদ এলাকায়।
শুধু ওই করোনা যোদ্ধাকে মারধরই নয়, বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্যে নাগাড়ে হুমকি, করোনা যোদ্ধার দুই মেয়ের স্নানের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই গোটা পর্বেই অভিযোগের তির পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেই!
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কর্মরত ওই করোনা যোদ্ধা। তাঁর অভিযোগ, ২০০১ সালে ওই পরিবারে বিয়ে হয়ে আসেন তিনি। পরের বছরই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু ২০০৩ সালে ছেলেটির মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই মহিলার উপর অত্যাচার হত বলে অভিযোগ।
পরে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেও পুত্র না হওয়ায় মহিলাকে নানা সময় কটূক্তির শিকার হতে হচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এমনটাই চলছিল। মহিলার স্বামী অসুস্থ, তাই বারবার হুমকি সত্ত্বেও বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে পারেননি তিনি। অস্থায়ী কর্মী হিসেবেই বেলেঘাটা আইডি’তে কাজ নেন তিনি। তা সত্বেও অত্যাচার অবশ্য কমেনি মহিলার উপরে।
তাঁর শাশুড়ি ইলা মণ্ডল, ভাসুর প্রদীপ মণ্ডল, জা ভবানী মণ্ডল, জায়ের ছেলে শান্তনু মণ্ডল-সহ একাধিক জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রদীপ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। পৈতৃক সম্পত্তি হাতাতেও মহিলাকে অত্যাচার করা হচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।