আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ: আমাদের প্রতিদিনের ডায়েট চার্টে সেই জিনিসগুলি অবশ্যই যোগ করতে হবে, যেগুলিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়, তা না হলে শরীরে এমন সমস্যা দেখা দেবে যা আপনাকে বিরক্ত করতে পারে।
আয়রন ডেফিসিয়েন্সি ডিজিজ: আয়রন আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা শুধু আমাদের পুষ্টি দেয় না অনেক রোগ থেকেও রক্ষা করে। আয়রন না থাকলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায়, তাই এই পুষ্টির অভাবে হিমোগ্লোবিন কমতে শুরু করে, তাই প্রতিদিনের খাবারে লেবু, পালং শাক, বিটরুট, পেস্তা, শুকনো কিশমিশ, পেয়ারা, কলা এবং ডুমুরের মতো জিনিস খেতে পারেন। আসুন জেনে নিই আয়রনের ঘাটতির কারণে আমরা কী কী অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারি।
আয়রনের অভাবের অসুবিধা
অ্যানিমিয়া
আয়রনের ঘাটতি অ্যানিমিয়া হতে পারে। এটি এমন একটি রোগ যাতে রক্তের অভাব হয়, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি সাধারণ। তাই আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন এমন কিছু খেতে হবে যাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে।
দুর্বলতা
: শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে তা প্রয়োজনীয় পরিমাণ হিমোগ্লোবিন তৈরি করে না, যার কারণে পরিপূর্ণ ঘুম হওয়া সত্ত্বেও আপনি সারাদিন দুর্বল ও ক্লান্ত বোধ করেন। এ কারণে দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতেও অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
হৃদরোগ
হার্টের স্বাস্থ্যকে সর্বদা অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত কারণ ভারতে হৃদরোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। শরীরে আয়রনের ঘাটতির কারণে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা দেয়। এ কারণে শরীরের অনেক স্থানে অক্সিজেন সঠিক পরিমাণে পৌঁছায় না, যার কারণে হৃৎপিণ্ডের কাজ বেড়ে যায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়।
চুল ও ত্বকের রোগেও
আয়রন আমাদের শরীরের সৌন্দর্য বাড়াতে কাজ করে। এই পুষ্টির ঘাটতি হলে ত্বক ও চুলের সমস্যা শুরু হয়। যেমন ত্বকে শুষ্কতা, দাগ, ত্বকের স্বর নষ্ট হয়ে যাওয়া বা প্রাণহীন হয়ে যাওয়া। এছাড়া চুল পড়া ও খুশকির সমস্যাও রয়েছে।