পুলিশের হাতে গ্রেফতার আইসিস জঙ্গি
নয়াদিল্লি: দিল্লি থেকে এক সন্দেহভাজন আইসিস সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে ওই আইসিস সদস্যকে ধরার আগে গুলির লড়াই চলে পুলিশের সঙ্গে। ধৃত ব্যক্তির নাম আবু ইউসুফ। সেই একটি হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে ১১.৩০টা নাগাদ আবু ইউসুফ নামে ওই সন্দেহভাজন আইসিস সদস্যকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। তার কাছ থেকে দুটি ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস এবং একটি পিস্তল পাওয়া যায়। দিল্লিতে একটি লোন উলফ অ্যাটাক এর পরিকল্পনা সে করছিল বলে বিশেষ সূত্রে জানতে পারে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ডিসিপি প্রমোদ সিং খুশওয়া জানান, ‘দিল্লির ধৌলা খান এলাকা থেকে আইসিসের একজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আমাদের স্পেশাল সেল। তার কাছ থেকে দুটি ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস পাওয়া গিয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে খবর, সন্দেহভাজন ব্যক্তি দিল্লির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছিল। একার হাতে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর পরিকল্পনা সে করছিল বলে সন্দেহ করা হয়েছে। এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দিন কয়েক আগেই আইসিসের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে বেঙ্গালুরু থেকে এক চিকিত্সককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বেঙ্গালুরুর এমএস রামাইয়া মেডিক্যাল কলেজে অপথামোলোজিস্ট হিসেবে কাজ করতেন রহমান নামে ২৮ বছরের ওই ব্যক্তি। গত সোমবার তাকে গ্রেফতার করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।
এনআইএ’র দাবি, আব্দুর রহমান নামে অভিযুক্ত চিকিত্সক জেরায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ, ISPK-এর সঙ্গে সে জড়িত। তা ছাড়া, সিরিয়ার আইসিস অপারেটিভদের সঙ্গেও যে তার ভালোরকম যোগাযোগ রয়েছে, তা-ও সে অস্বীকার করেনি । ধৃত চিকিত্সকের বাড়ি বেঙ্গালুরুর বসবনগুড়ি এলাকায়।
আব্দুর রহমানকে গ্রেফতারের পর বেঙ্গালুরুর একটি গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে জেরা করা হয়। জেরায় জানা যায়, ২০১৪ সালে সিরিয়ায় আইসিসের মেডিক্যাল ক্যাম্পে সে গিয়েছিল। আইসিস জঙ্গিদের চিকিত্সা করাতেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
সেখানে ১০ দিন থেকে সে দেশে ফিরে আসে। এই চিকিত্সককে গ্রেফতারের পর ডিজিটাল ডিভাইস, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করতে তিন জায়গায় অভিযান চালায় এনআইএ।