শাশুড়িকে খুন করে লুকিয়ে রাখলো বউমা
ঝাড়গ্রাম: শাশুড়িকে খুন করে নিখোঁজের গল্প ফেঁদেছিল বউমা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়েই গেল। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের লালবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলবহড়া গ্রামে।
শনিবার জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় শাশুড়ির পচাগলা মৃতদেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দুঃখিনী টুডু, বয়স ৬৫।
শনিবার দুপুরে জামবনি ব্লকের বেনাডিহা শাল জঙ্গলের ভিতর কাঠ কুড়াতে গিয়ে একটি গলাপচা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন কিছু মানুষ। খবর পেয়ে জামবনি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
জঙ্গলের মধ্যে মৃতদেহটি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় একটি পুটলির মধ্যে পড়েছিল। ফুলবহড়া গ্রামের মানুষজন মৃতদেহটিকে সনাক্ত করেন। জঙ্গলের মাঝে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কেন পড়েছিল দুঃখিনী টুডুর দেহ, জানতে তদন্তে নামে পুলিশ।
ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘মাঝে-মধ্যেই শাশুড়ি ও বৌমার ঝগড়া হত। বুধবার রাতে অশান্তি চরমে ওঠে এবং শাশুড়িকে গলা টিপে হত্যা করেন বউমা পানমনি টুডু।
তারপর বৃহস্পতিবার সকালে শাশুড়ির হাত-পা বেঁধে পুটলি করে সাইকেলে চাপিয়ে বেনাডিহা জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসেন তিনি।’ যদিও প্রতিবেশীদের পানমনি বলেন, ‘শাশুড়ি কোথায় গিয়েছে জানি না।’
এদিন মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশি জেরায় খুন করার কথা স্বীকার করেছেন বৌমা পানমনি টুডু। স্থানীয় এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে জামবনি থানার পুলিশ তাঁকে অবশ্য গ্রেপ্তার করেছে।
জামবনি থানার আইসি বিশ্বজিৎ পাত্র বলেন, ‘মৃতদেহ উদ্ধারের পর অভিযোগের ভিত্তিতে বৌমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কী কারনে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রবিবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হবে পানমনি টুডুকে’।