রাঁচি – করোনা ভাইরাস-প্ররোচিত লকডাউনের কারণে সারা দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সকলেই আর্থিক সংকটে পড়ে। এর মধ্যে একজন মহিলা হলেন জাতীয় স্তরের ধনুর্বিদ মমতা টুড্ডু। ২০১০ এবং ২০১৪ সালে জুনিয়র এবং সাব-জুনিয়র স্তরে স্বর্ণপদক জয়ী। চূড়ান্ত প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও মমতা তার গ্রামে মুদি সামগ্রী বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
মমতা হলেন বিসিসিএল অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মীর মেয়ে এবং তার ভাইবোনদের মধ্যে তিনি সবার বড়। ২০১৩ সাল থেকে রাঁচির তীরন্দাজের জন্য সেন্টার অব এক্সিলেন্সে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তিনি। তবে লকডাউনে একাডেমী বন্ধ হওয়ার পরে তার দামোদরপুরের বাড়িতে ফিরে আসেন। লকডাউন শেষে একাডেমি খোলার পরেও অর্থনৈতিক বাধাগ্রস্থতার কারণে তিনি তার প্রশিক্ষণ পুনরায় শুরু করতে পারেননি।
টুড্ডু দাবি করেছেন, কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা তার বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী। তিনি আরও বলেন, “আমি এখনও সিনিয়র পর্যায়ে খেলছি তবে জীবন টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা দরকার।”
তার প্রাক্তন কোচ মোঃ শামশাদ পরিবারের সহায়তার জন্য টুড্ডুর অবস্থার কথা জানতে পেরে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, ধানবাদ আর্চারি অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক যুবায়ের আলম বলেছেন যে তিনি শীঘ্রই মমতার সাথে দেখা করবেন এবং তার পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে যতটা সম্ভব সহায়তা করার তার চেষ্টা করবেন।