বেইরুট: মঙ্গলবার রাতে তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লেবাননের রাজধানী বেইরুট। সেই বিস্ফোরণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিও অনুসারে একটি নয়, দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি
২০০৫ সালে খুন হওয়া লেবাননের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি হত্যা মামলায় বিচারের রায় ঘোষণার ঠিক আগেই ঘটল এই বিস্ফোরণ। অনেকেই মনে করছেন দুই ঘটনা সম্পর্কিত। মঙ্গলবার ভারতীয় সময় রাত ৯:৩০ টা নাগাদ তীব্র বিস্ফোরণ হয়।
প্রথম বিস্ফোরণের পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও পোস্ট করা হয়। তাতে বিশাল ব্যাঙের ছাতার মতো ধোঁয়ার মেঘ কুণ্ডলি পাকিয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে বিস্ফোরণের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামাদ হাসান বহু ব্যক্তির হতাহত হওয়ার ও ব্যাপক সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথা বলেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলিতে দেখা গিয়েছে ধ্বংসস্তূপের নীচে বহু মানুষ আটকা পড়ে আছে।
জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণটি ঘটেছে বেইরুট সমুদ্র বন্দরের আশেপাশের কোনও এলাকায়। কিন্তু বিস্ফোরণের অভিঘাত অনুভূত হয়েছে অনেক দূর পর্যন্ত। বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরেও জানলার কাঁচ ভেঙে গিয়েছে, মাটি কেঁপে ওঠে। বেইরুট বন্দর এলাকায় বেশ কিছু আহত মানুষ ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সংবাদসংস্থার এক ফটোগ্রাফার।
বেইরুটের স্থানীয় কিছু টিভি চ্যানেল অবশ্য জানাচ্ছে যে এর পিছনে নাশকতার চেষ্টা নাও থাকতে পারে। তারা বলছে, বিস্ফোরণটি বেইরুট বন্দরের এমন এক জায়গায় ঘটেছে যেখানে প্রচুর আতশবাজি মজুত করা ছিল।
২০০৫ সালে এক গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন লেবাননের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি। রাষ্ট্রসংঘের একটি ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় শুনানি চলছে। অভিযুক্ত ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর ৪ সদস্যের বিষয়ে চলতি সপ্তাহের শুক্রবারই রায় বের হওয়ার কথা। এই মামলায় অভিযুক্ত পঞ্চম ব্যক্তি হিজবুল্লার সামরিক কমান্ডার মোস্তাফা আমাইন বদ্রেদাইন ২০১৬ সালে সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন।