একুশ শতকের এই মুঠোফোনের দুনিয়ায় বইয়ের গুরুত্বের হেরফের নিয়ে তর্ক বা আলোচনা বহুদিনের। ‘রিড ইওর ওয়ে’ মূলত এই স্লোগানকে সামনে রেখেই ১৯৯৫ সালে ২৩ এপ্রিল তারিখটিকে ‘ওয়ার্ল্ড বুক ডে’ এবং ‘কপিরাইট ডে’ হিসাবে পালন করা শুরু করেছিল ইউনেসকো। ওই দিনটি শহরে, গ্রামে কিংবা স্কুলগুলির ছোট পাঠাগারগুলিতেও পালন করা হয়। কিন্তু বর্তমানে মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গিয়েছে মুঠোফোন। কমেছে বইয়ের কদর। একসময় মাল শহরের বইপ্রেমী মানুষের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা ছিল জলপাইগুড়ির প্রগতি সংঘ টাউন লাইব্রেরি। ১৯৪৫ সালে এই লাইব্রেরি তৈরি করা হয়। শহরের অনেক ইতিহাস, ঐতিহ্যের সাক্ষী এই পাঠাগার। উপন্যাস, কবিতা, গল্প সংগ্রহ হোক বা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য নানা বই এবং পত্রপত্রিকা, পড়তে ভালোবাসে এমন বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।
সোশ্যাল মিডিয়ার নির্ভর এই যুগে হাতের কাছে সব তথ্য পাওয়া যায় এক ক্লিকেই। অনলাইন ই-বুকের পসারও দিব্যি জমেছে। লাইব্রেরির প্রতি টান আর তেমনভাবে অনুভব করছে না আমজনতা। দিন-দিন তাই পাঠকের সংখ্যা কমেই চলছে। তবে এই সময়ে দাঁড়িয়েও পেশায় শিক্ষক পরিতোষ দে, রাজু পোদ্দার, শিক্ষিকা সুস্নেহা ঘোষদের কথায়, এই যুগের একটি অংশ এখনও বই পড়তে ভালোবাসে। উপহারে প্রিয়জনকে বই দেয় তারা। তবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই লাইব্রেরিগুলিকেও আপডেট করে নিতে হবে। পাঠাগারের দপ্তরগুলিকে উপদেষ্টামণ্ডলীর পরিবর্তন ঘটাতে হবে। যারা আধুনিক চিন্তা নিয়ে চলেন তাদেরকে রাখতে হবে। তবেই চলবে লাইব্রেরী।