মালদা: কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ। সমস্যায় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক শুরু করে ট্রাকচালক এবং ব্যবসায়ীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে মালদা জেলার মহদীপুর ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্থল বন্দরে নাসিক সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পেঁয়াজ বোঝাই গাড়িগুলি আটকে পড়েছে। না পাচ্ছে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে, না ফিরে যেতে পারছে নিজ রাজ্যে। দুই যাঁতাকলে পড়ে সমস্যায় লরি চালক এবং ব্যবসায়ীরা।
এই বিষয়ে পেঁয়াজ রপ্তানিকারক হৃদয় ঘোষ বলেন, সূর্যের আলো এবং বৃষ্টির কারণে লরি বোঝাই পেঁয়াজগুলিতে পচন ধরতে শুরু করেছে। ফলে যতদিন যাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে চলেছে ক্ষতির পরিমাণ। ভিন রাজ্য থেকে পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে এসে আটকে পড়ায় ইতিমধ্যে টাকাপয়সা শেষের দিকে চালকদের।ফলে ইচ্ছা থাকলেও নিজ রাজ্যে ফিরে যেতে পারছেন না তারা। এই মুহূর্তে মহদীপুর স্থলবন্দরে প্রায় ৪০০ পেঁয়াজ বোঝাই গাড়ি আটকে। এখনো পর্যন্ত প্রায় কুড়ি কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা দেখছেন তারা। আপাতত পেঁয়াজ বোঝাই লরিগুলি বাংলাদেশ রপ্তানি না করা হলে পেঁয়াজ রপ্তানিকারকদের আগামীতে আত্মহত্যা ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা বলে বলছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে মহদীপুর এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক জানান, লকডাউন এমনিতেই বেশ কয়েকমাস সীমান্তে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ছিল। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্তে সীমান্তে আটকে পড়েছে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পেঁয়াজবোঝাই লরিগুলি। ইতিমধ্যে লরি বোঝায় পেঁয়াজগুলিতে পচন ধরতে শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হচ্ছে যাতে সীমান্তে আটকে পড়া লরিগুলিকে আপাতত রপ্তানি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। না হলে আগামীতে পেঁয়াজের দাম আরো অগ্নিমূল্য হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
অন্যদিকে এ বিষয়ে মহদীপুর সিএনএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভূপতি মন্ডল জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা জারি করার আগেই প্রায় দেড়শ গাড়ি মহদীপুর স্থল বন্দরে এসেছিল। বর্তমানে প্রায় ৪০০ গাড়ি আটকে পড়েছে। এত গরমে পেঁয়াজের পচন শুরু হয়েছে। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭৫ কোটি টাকার ব্যবসা হয়ে থাকে। তাই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন এত বড় অঙ্কের টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।