লড়াই ২৪ ডেস্ক: জালিয়াতি মামলায় জড়িয়ে ছিলেন গান্ধীজীর নাতনির মেয়ে। অবশেষে সেই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি। তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিল দক্ষিণ আফ্রিকার আদালত।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, ভারত থেকে তিনটি কন্ট্রোলারের আমদানি শুল্কের জন্য গান্ধীজীর নাতনির মেয়ে আশিস লতা রামগোবিনকে ৬.২ মিলিয়ন র্যান্ড(দক্ষিণ আফ্রিকার মুদ্রা) দিয়েছিলেন এসআর মহারাজ নামে এক ব্যবসায়ী। কিন্তু আদতে সেই বরাতের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। ওই ব্যবসায়ীদের মুনাফার ভাগ দেওয়া আশ্বাস দিয়েছিলেন লতা।
আরও পড়ুন…..ভয়াবহ আগুন মদন মিত্রের ভবানিপুরের বাড়িতে, ক্ষতিগ্রস্ত একতলার ঘর
২০১৫ সালে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। তখন ন্যাশনাল প্রসিকিউটিং এজেন্সির ব্রিগেডিয়ার মুলাউডজি জানিয়েছিলেন, ভুয়ো ইনভয়েস দিয়ে লতা বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন ভারত থেকে তিনটি রেশমের কন্টেনার আসছে। সেই শুনানির সময় ৫০,০০০ র্যান্ড দিয়ে ব্যাক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছিলেন তিনি।
এরপর সোমবার শুনানিতে আদালতকে জানানো হয়, ২০১৫ সালের অগস্টে নিউ আফ্রিকা অ্যালায়েন্স ফুটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশনের অধিকর্তা মহারাজের সঙ্গে আলাপ করেন লতা। সেখানে তিনি মহারাজকে জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার হাসপাতাল গ্রুপ নেট কেয়ারের জন্য তিনটি রেশমের কন্টেনার এনেছেন তিনি। কিন্তু আর্থিক সমস্যার দরুণ আমদানি শুল্ক দিতে পারছে না। বন্দর থেকে কন্টেনার নেওয়ার জন্য অর্থের প্রয়োজন তার। ন্যাশনাল প্রসিকিউটিং এজেন্সির মুখপাত্র নাতাশা কারা জানান, পারিবারিক পরিচিতি ও নেটকেয়ারের নথির জন্য লিখিত চুক্তি পত্রে সই করেন মহারাজ। কিন্তু পরে মহারাজ জানতে পারেন নথির যাবতীয় তথ্য ভুয়ো এবং নেটকেয়ারের সঙ্গে লতার কোনো সম্পর্ক নেই। তখনই আইনি ব্যবস্থা নেন মহারাজ।