লড়াই ২৪ ডেস্ক: প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ কিন্তু নেই চাকরির কোনো হদিশ। বেকারত্বের জ্বালায় দিশেহারা তারা। ফলত উপায় খুঁজে না পেয়ে বিক্ষোভের পথকেই বেছে নিতে হল তাদের। ঘটনা মালদার ইংলিশ বাজারের। নিয়োগ না হওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকশো চাকরি প্রার্থী জেলা স্কুল পরিদর্শককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইংলিশ বাজার থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ২০০৯-১০ সালে পরীক্ষা হয়। এরপর দীর্ঘ অপেক্ষার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ফল প্রকাশ পায়। প্রায় ১৩০০ ছাত্রছাত্রী এদিন বিক্ষোভ দেখান। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের পরও কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব দিতে পারেননি স্কুল পরিদর্শক সুনীতি সাঁপুই। এরপরে বিক্ষোভে আরও ফেটে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। ঘেরাও করা হয় স্কুল পরিদর্শককে। যথারীতি এই পরিস্থিতি ইংলিশ বাজার পুলিশকে আসতে হয় ঘটনাস্থলে। উদ্ধার করা হয় সুনীতি সাঁপুইকে।
আরও পড়ুন………….রাজ্য সভাপতিত্ব থেকে সরছেন দিলীপ, পরিবর্তে আসছে কে? জোর জল্পনা
এক চাকরিপ্রার্থী মন্দিরা সাহা জানান, “দীর্ঘদিন ফল প্রকাশ হলেও নেই কোনো নিয়োগ। বার বার স্কুল পরিদর্শকের কাছে এলেও তিনি কিছুই বলেন না। ফলে বাধ্য হয়ে স্কুল পরিদর্শককে ঘেরাও করেছি। এরপরও কোনো সদুত্তর না পেলে শুক্রবার থেকে আন্দোলন চলতেই থাকবে।” যদিও এই ঘটনার কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি সুনীতি সাঁপুই।
উচ্চ প্রাথমিকে শূন্যপদের সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৩৯। কিন্তু, এরইমধ্যে চাকরি প্রার্থীদের একাংশ মেরিট লিস্টে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু রাজ্যকে স্বস্তি দিয়ে, আপার প্রাইমারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায়, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট জানায়, ২ সপ্তাহের মধ্যে চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ জানাতে পারবে। অভিযোগপত্র হাতে পাওয়ার পর, ১০ সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে। এতে থেমে থাকবে না ১৪ হাজার ৩৩৯ শিক্ষকপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
কিন্তু নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিতের আবেদন জানান চাকরিপ্রার্থীরা। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। সদ্য প্রকাশ পাওয়া এসএসসি ইন্টারভিউ তালিকা নিয়েও একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।