পরিতোষ সরকার – আর্থিক অনটন ও স্বামীর অবহেলায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ভূতনি থানার শঙ্করটোলা বাঁধ এলাকায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে।ঘটনায় শোকাহত গোটা পরিবার।
মৃত গৃহবধূর নাম শান্তি মন্ডল(২৭)। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাত বছর আগে ভুতনি থানার ডোমনটোলা গ্রামের বাসিন্দা সনাতন মন্ডলের সাথে বিবাহ হয়।বর্তমানে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী দুজনের ভিন রাজ্যে কাজ করতো। কিন্তু প্রায় বছর খানেক আগে স্বামী সনাতন মন্ডল স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে রেখে ভিন রাজ্যে চলে যায়। এদিকে স্ত্রী শান্তি মন্ডল কে শ্বশুরবাড়িতেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। শেষমেষ শঙ্করটোলা বাঁধ এলাকার বাসিন্দা বাবা পিঙ্কু মন্ডলের বাড়িতেই ঠাঁই হয় গৃহবধূর।দীর্ঘ সময় ধরে স্বামী কোন রকম ভাবেই স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক রাখে নি।সন্তানদের দেখভালের জন্য স্বামী খরচ না পাঠানোই কোনরকমে দিনমজুরি করে চলতো দিন।পরিবারের আর্থিক অনটন ও স্বামীর অবহেলা এই পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই গৃহবধূ বলে দাবি পরিবারের। শুক্রবার সকালে ফাকা বাড়ির সুযোগে বাবার বাড়িতে ঘরের মধ্যে নিজে গলায় ফাঁস লাগায় মেয়ে শান্তি মন্ডল। পরে বাড়ির লোকজন আসলে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।এরপরই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ছুটে আসে ভূতনি থানার পুলিশ।পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। এইভাবে মেয়ের মৃত্যুতে শোকোস্তব্ধ গোটা পরিবার।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই লকডাউন পরবর্তী থেকে আর্থিক অনটনে ভুগছে গোটা পরিবার। কোনদিন কাজ করলেও অন্যদিন কি করে চলবে সেই ভেবেই কূলকিনারা হারাচ্ছিল। সাথে স্বামী কোন রকম ভাবেই সহযোগিতা বা যোগাযোগ কিছুই রাখেনি স্ত্রীর সঙ্গে। আর সেই সমস্ত কারণে আত্মহত্যা করেছে বলে অনুমান এলাকাবাসীর।যদিও এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের তরফে কোনরকম লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।