মালদা: মালদার কালিয়াচকের সুজাপুরে একটি প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু ৫ জন শ্রমিকের। গুরুতর জখম আরও ৫ জন শ্রমিক । আহতদের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা ।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা । বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে আশে পাশের ফ্যাক্টরিগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছান মালদার পুলিশ সুপার অলক রাজরিয়া, জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। কিভাবে ঘটল বিস্ফোরণ তা নিয়ে তদন্ত নেমেছে মালদা জেলা পুলিশ ।
বৃহস্পতিবার সুজাপুর বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া একটি প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় । জানা গেছে এই কারখানার মালিক স্থানীয় ব্যবসায়ী অমলু শেখ ও আবু সায়েদ।কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে বিদ্যুৎ চালিত ক্রাশার মেশিন বিস্ফোরণ হয়েই এই ঘটনা ।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় পাঁচ জন শ্রমিকের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় । কর্মরত আরো বেশ কয়েকজন শ্রমিক এ ঘটনায় আহত হন ।বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দারাও আহত হয়েছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর । বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা । নিমেষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় এলাকাজুড়ে । ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পৌঁছাই কালিয়াচক থানার পুলিশ । মৃতদেহ ও গুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ।
পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় হাসপাতালে । ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান জেলার পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখেন তারা। তবে নিছকই দুর্ঘটনা না এর পেছনে রয়েছে কোন অন্য রহস্য তা খতিয়ে দেখছেন জেলা পুলিশের কর্তারা।
সুপার জানিয়েছে প্লাস্টিক থেকে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করার ক্রেসার মেশিন বিস্ফোরণের ফলে এই ঘটনা । ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 5 জনের মৃত্যু হয়েছে আহত আরও বেশ কয়েকজন । তবে বিস্ফোরণের ঘটনা কি কারনে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নমুনা সংগ্রহ করেছে বাকি তদন্তের জন্য ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞরা আসবেন এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
এদিকে ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও সুজাপুর বিধানসভা কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী।ঘটনায় সঠিক তদন্ত হবে এবং সমগ্র দিক খতিয়ে দেখা হবে সেই কথাই জানিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। অন্যদিকে বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা দাবির পাশাপাশি নিহত ও আহতদের পরিবারের যাতে রাজ্য সরকার সাহায্য প্রদান করে সেই দাবি করেছেন।