এক বছর কেঁটে গেলেও হয়নি আলোর ব্যবস্থা, সমস্যায় লক্ষাধিক মানুষ

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now
Instagram Channel Follow Now

পরিতোষ সরকার ,মালদা : বাতিস্তম্ভ থাকলেও নেই আলো। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর কেঁটে গিয়েছে এক বছরেরও বেশি সময়। তবু এখনও আলোহীন অবস্থায় উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম মালদার ‘ভূতনি সেতু’।বাতিস্তম্ভ বসেছে,নতুন আলোও লাগানো হয়েছে, কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। সন্ধ্যা হলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে ডুবছে ব্রীজ।শীতের কুয়াশা আর সেতুতে আলোহীন হওয়ায় সন্ধার পর সেতুতে যাতায়াত কার্যতঃ বন্ধ। সমস্যায় লক্ষাধিক মানুষ।

         রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসতেই খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগে মালদার মুল ভূখণ্ডের সঙ্গে বৃহৎ দ্বীপ ভূতনিকে যুক্ত করতে সেতু তৈরির। ভূতনিকে সদর মানিকচকের সঙ্গে যুক্ত করতে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফুলহার নদীর ওপর তৈরি হয় এই ভূতনি সেতু। মালদা সফরে এসে, ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ এই সেতুর দৈর্ঘ্য ১৭৯০ মিটার। সেতু তৈরিতে খরচ হয় ১৩২ কোটি টাকা। এই সেতুর মাধ্যমে মালদার মানিকচকের মথুরাপুরের সঙ্গে ভূতনি চরের সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ভূতনি চরে বসবাস করেন প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার মানুষ। ভূতনি চরে রয়েছে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত।উত্তর চণ্ডীপুর,দক্ষিন চণ্ডীপুর ও হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। ভূতনি সেতু তৈরির ফলে উপকৃত হন মালদার মানিকচক ও ভূতনির প্রায় তিন লক্ষ মানুষ। কিন্তু সেতু চালুর হওয়ার এক বছর কেঁটে গেলেও এখনো আলোর ব্যবস্থা হয়নি। ফলে দিনে চলাচল হলেও সন্ধ্যার পর সেতু ব্যবহারে চরম সমস্যা দেখা দিয়েছে।

https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMJ-knQswsK61Aw?hl=en-IN&gl=IN&ceid=IN:en

        স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় পৌনে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু হেঁটে পার হতে সময় লাগে প্রায় আধ ঘন্টা। রাতের অন্ধকারে যাতায়াত ঝুঁকি পূর্ন। আবার শীতের মরশুমে ঘন কুয়াশায় রাতে গাড়ি চলাচলও কার্যতঃ বন্ধ। ফলে রাতে সেতুর সুবিধে থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, সেতুতে আলো জ্বললে বিদ্যুৎ বিল কে মেটাবে তা নিয়ে জেলা পরিষদ আর মানিকচক পঞ্চায়েতসমিতির মধ্যে টানা পোড়েন চলছে। আর এতেই থমকে গিয়েছে সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগ।
অন্ধকারে ডুবে থাকা সেতুতে চলাচলে সমস্যা বাড়িয়েছে দুস্কৃতি তাণ্ডব। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে সেতুতে মাঝে মধ্যেই মদ ও জুয়ার আসর বসছে। দুষ্কৃতীরা খাদ পেতে বসে থাকছে সেতুতে রাতের অন্ধকারে।  ঘটেছে বহু ছিনতাই এর ঘটনাও।

         ভূতনি সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগ না হওয়া নিয়ে এক যোগে সরব হয়েছে বিজেপি ও সিপিএম।ভূতনি সেতুতে ৯৮ টি বাতিস্তম্ভ রয়েছে। বাতিস্তম্ভে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আলোও লাগানো হয়েছে। কিন্তু চালু হয়নি বিদ্যুৎ সংযোগ। আলোর ব্যবস্থা হলে
তাঁর বিল কে মেটাবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। তৃনমূল পরিচালিত মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতি এবং মালদহ জেলা পরিষদের কর্তৃপক্ষের মধ্যে টানা পোড়েন চলছে।

        মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মণ্ডলের দাবি, পঞ্চায়েত সমিতিকে সেতুর বিদ্যুৎ খরচ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এত টাকা বহনের মতো নিজস্ব তহবিল পঞ্চায়েত সমিতির নেই। এজন্য অর্থ স্থায়ী সমিতির বৈঠক ডাকা হয়।

         অন্যদিকে, মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল বলেন, ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে আলোর ব্যবস্থা করা হবে।

Author

এই খবরটা তাঁর সঙ্গে শেয়ার করুন, যার এটা জানা দরকার

Make your comment