বিষ্ণুপুর: গুলি করে আত্মঘাতী হলেন বিষ্ণুপুরের মল্লরাজ বংশের অন্যতম বর্ষীয়ান সদস্য সলিল সিংহ ঠাকুর (৭৭)। শনিবার সকাল ৭:৩০ টা নাগাদ নিজের বাড়ির বসার ঘরে বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলি গলায় লেগে মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় সাবেক রাজঘরানার অন্যতম প্রবীণ সদস্যের।
শনিবার প্রথমে গুলির আওয়াজ শোনেন বাড়ির পরিচারিকা। তিনি দৌড়ে ঘরে গিয়ে দেখেন সলিলবাবুর রক্তাক্ত দেহ পরে আছে মেঝেতে, রক্ত গড়িয়ে যাচ্ছে। তিনিই চিৎকার করে সুনীলবাবুর এই মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর দেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের।
এদিকে, গুলির আওয়াজ পেয়ে রাজবাড়ির সামনে জড়ো হয়ে যান স্থানীয়রাও। সলিলবাবুর নিথর দেহ দেখে হতবাক বিষ্ণুপুরের বাসিন্দারা। হইচই পড়ে যায় জেলাজুড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, লাইসেন্সপ্রাপ্ত পারিবারিক বন্দুক থেকেই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন রাজ পরিবারের এই সদস্য। প্রতিবেশীদের দাবি, কিছু শারীরিক অসুস্থতা ছিল তাঁর। সেই কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তাই হয়তো আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেন সলিলবাবু। তবে ঠিক কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হলেন, তা খতিয়ে দেখছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।