স্বামী স্ত্রীর মিলন: উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় দ্বিতীয়বার যৌনমিলন করতে অস্বীকার করায় স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুন করলেন এক যুবক। রহস্য লুকানোর জন্য লাশটি বস্তায় ভরে মোরাদাবাদের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, আমরোহার সিটি থানায় স্ত্রীর নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন অভিযুক্ত। অন্যদিকে, বেওয়ারিশ লাশের সন্ধানে তদন্তের পর অভিযুক্তের কাছে পৌঁছেছে মোরাদাবাদ পুলিশ। বর্তমানে পুলিশ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আমরোহা নগর কোতোয়ালি এলাকায় বেকারি অপারেটর জাভেদের (নাম পরিবর্তিত) ৫ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে স্ত্রী শাবানার (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে সম্পর্ক হয়। কিছুক্ষণ পর আবার সম্পর্ক করতে বললে স্ত্রী রাজি হননি।
এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হলে রাগের মাথায় জাভেদ তার স্ত্রীকে দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর মৃতদেহটিকে প্লাস্টিক দিয়ে ভরে তার বাইকে করে মোরাদাবাদ জেলার রতুপুরা গ্রামে জঙ্গলের ধারে রাস্তায় ফেলে দেয় এবং ফিরে এসে আমরোহা নগর থানায় তার স্ত্রীর নিখোঁজ নিবন্ধন করে।
অন্যদিকে রাস্তার উপর বস্তায় বস্তাবন্দী মৃতদেহ দেখে গ্রামবাসীরা খবর দেয় মোরাদাবাদ পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত মহিলার দেহ শনাক্ত করতে বিভিন্ন জেলায় ছবি পাঠিয়েছে। পুলিশ আশেপাশের জেলাগুলি থেকে এমন মহিলাদের বিবরণও সংগ্রহ করছে, যাদের নিখোঁজ সম্প্রতি নিবন্ধিত হয়েছিল।
এই পর্বে আমরোহা কোতোয়ালিতে শাবানার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।ছবি মিলে গেলে বস্তায় রাখা মৃতদেহটি আমরোহা নগর কোতোয়ালি এলাকার বাসিন্দা শাবানার। এরপর মোরাদাবাদ পুলিশ নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার অপরাধ স্বীকার করে পুলিশকে জানায়, এ ঘটনায় সে তার ভাই ফয়সালের (নাম পরিবর্তিত) সহায়তা নিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত দুজনকেই জেলহাজতে পাঠিয়েছে।