আম আমরা কমবেশি সবাই পছন্দ করি। ছোট-বড় প্রায় সব বয়সীদেরই আম একটি প্রিয় ফল। শুধু স্বাদের জন্য নয় অন্যান্য ফলের মতো আম (mango) ও একটি স্বাস্থ্যকর ফল। তবে এই আম (mango) যদি বারো মাস পাওয়া যায় তাহলে আম প্রেমীদের জন্য একটা দারুণ ব্যাপার হবে। এখন আম পাওয়া যাবে বারো মাস। আমের এই জাতটির নাম বারি আম -১১ যাতে সারা বছর ফুল, ফল ও পাকা আম পাওয়া যাবে । শুধু তাই নয় বাড়ির ছাদেও বারিমাসি আম-১১ চাষ করা সম্ভব।
আমাদের দেশে mango পাওয়া যায় সাধারণত বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাসে। কিন্তু বাঙালি বারোমাসি আমের স্বাদ উপভোগ করতে চান। সারাবছর আমের চাহিদা মেটাতে এর উদ্ভাবন। বিশ্বের নানা দেশের বিজ্ঞানীরা সারাবছর ফল উৎপাদন ও কৃষি বিষয়ক নানা বিষয়ে গবেষণা করেই চলছে। এগিয়ে এসেছেন কৃষি বিজ্ঞানীরাও।
আরও খবর পড়ুন – জেল থেকে বেরিয়েই মেহুল-নীরবের মতো বিদেশে পালাবেন রাজ কুন্দ্রা! আশঙ্কা করল মুম্বই পুলিশ
আম
এ জাতের আম বছরে তিনবার উৎপাদিত হয়। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন, এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল সংগ্রহণে উপযোগী হয়। ফলগুলি লম্বাটে (লম্বায় ১১.৩ সেমি) হয় এবং প্রত্যেকটি আমের গড় ওজন ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। আমগুলি কাঁচা অবস্থায় হালকা সবুজ পাকলে সেটি পাল্টে হলদেসবুজ রঙে পরিণত হয়। গাছগুলোর উচ্চতা প্রায় ছয় থেকে সাত ফুট হয়।
গাছের কোন অংশে মুকুল, আবার কোন অংশে mango-এর ছোট ছোট গুটি, কোন অংশে পাকা কোন অংশে কাঁচা। গোটা একটি গাছেই দেখা যায় আমের ‘ জীবনচক্র ‘। এই আম খেতে অনেক সুস্বাদু আর ফলের শাঁস গাঢ় হলুদ বর্ণের । প্রায় ৪ থেকে ৫ বছর বয়সী গাছ থেকে প্রতিবার ৬০ ক্রিকেট ৭০ অর্থাৎ প্রায় ৫০ কেজি পর্যন্ত আম প্রাপ্ত করা যা। তবে আম গুলোতে একটু আঁশ আছে। একটি থোকার মধ্যে ৫-৬ টি আম পাওয়া যায়।
এই জাতের গাছের তেরোটি পর্যন্ত ডাল পাওয়া গিয়েছে এবং সবথেকে বড় বৈশিষ্ট্য হলো বছরে তিনবার আম ধরে এবং প্রতি গাছে আমের সংখ্যা অনেক বেশী । প্রতিটি আমের ওজন ও অনেক বেশি হয়। ঘরের তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত অনায়াসে সংরক্ষণ করা যায়।