এলাকা দখল নিয়ে ব্যাপক বোমাবাজি, নিহত এক
আরামবাগ: ফের রাজনৈতিক কলহে উত্তাল হয়ে উঠল আরামবাগ। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে শাসক শিবিরে নিজেদের দুই পক্ষের মধ্যে চলল তীব্র লড়াই, চলল ব্যাপক গুলি-বোমাবাজি। জখম অনেকে।
সংঘর্ষের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয়েছে চন্দন খান নামের এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ মহকুমার হরিণখোলা ১ নম্বর গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘোল তাজপুরে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে হরিণখোলার ঘোল তাজপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি হয়, গুলি চলারও অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, তৃণমূল যুব নেতা শেখ লাল্টুর সঙ্গে তৃণমূল নেতা পারভেজ রহমানের দীর্ঘদিনের ঝামেলা। যা নিয়ে এর আগেও বহুবার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষের অনুগামীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজির ফলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বোমার আঘাতে বেশ কয়েক জন আহত হয়। তাদের আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
মূল তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। ঘটনার মাঝে পড়ে চন্দন খান নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হলেও তার পরিবারের দাবি, নিহত চন্দন সক্রিয় ভাবে কোনও রাজনীতি করতেন না।
এই ঘটনার পর মৃতদেহ আটকে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় গ্ৰামবাসীরা। দোষীদের ধরা না হলে মৃতদেহ তুলতে দেওয়া হবে না বলে চলতে থাকে বিক্ষোভ। রাস্তায় আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পরিবারের সদস্য ও গ্ৰামবাসীরা। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেছেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে পুলিশ-প্রশাসন পুলিশের মতো কাজ করবে। ঘটনাস্থলে গিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টা জানাবো”।