ঘুমোনোর আগে যতই জল খেয়ে নেন, মাঝ রাতে ঠিক গলা শুকিয়ে কাঠ! বার বার উঠে জল খেতে হয়। চেষ্টা করেও ঘুমোতে পারেন না।
কিন্তু ঠিক কী কী কারণে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত জেরোস্টোমিয়া নামক রোগের কারণে মুখে লালা কমে যায়। যার জন্য এই ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
ঠিক কী কারনে এগুলি হয়,-
ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে এই রোগ হতে পারে।
কিছুক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা অনেকে ঘুমানোর সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিয়ে থাকি। মূলত, হাইপোসালিভেশনের কারণে এমনটা হয়। সে সময়ে মুখ শুকিয়ে যায়। নাক দিয়ে না শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া একধরনের অভ্যাস বলেো মনে করেন অনেকে। তাই ইএনটি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শরীরে যখন জলের মাত্রা কমে যায় তখনই গলা শুকোতে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশন কিন্তু মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। বেশি ঘাম হওয়া, পেট খারাপ ইত্যাদির জেরেও ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
ডায়াবিটিসের একটি অন্যতম উপসর্গ গলা শুকিয়ে যাওয়া। অতিরিক্ত পরিমাণে মূত্রের জেরে শরীরে জলের সমতা থাকে না। ফলে গলা শুকোয়।
সেপসিস-এর মতো ভয়ানক রোগেরও উপসর্গ এটি। বিভিন্ন ধরনের জীবাণু থেকে শরীরে ইনফেকশনের ফলে এমন প্রভাব পড়ে যে গলা প্রায় শুকিয়ে যায়।
যাঁরা ধূমপান ও অ্যালকোহল পান করেন তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। জার্নাল অফ ডেন্টাল রিসার্চের পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা প্রতিদিন ধূমপান ও অ্যালকোহল ৩৯ শতাংশ মানুষের মুখের লালা উৎপাদন কমে গিয়েছে।
প্রেসার এর সমস্যা থাকলেও এই ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। বিশেষত যাদের হাই প্রেশার রয়েছে অতিরিক্ত ঘামে। ফলে সহজেই গলা শুকিয়ে যায়।
এমনটা হলে দেরি না করে করে খুব তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ।