লড়াই ২৪ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন মুকুল রায়ের স্ত্রী। আজ সকালেই চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মাস খানেক আগেই তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন কোভিডে। তখন অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কোভিড থেকে মুক্ত হওয়ার পর জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ফুসফুস। ফলত একমো সাপোর্টে রাখতে হয় তাঁকে। চেন্নাই থেকে এক দল চিকিৎসক আনানো হয়। তারা পরামর্শ দেন ফুসফুস প্রতিস্থাপনের। সেই মতোই চিকিৎসার জন্য তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাইয়ে। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না সেখানেও। এদিন ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াণ হয় তাঁর। আজ কোনো ফ্লাইট না পাওয়ায় আগামীকাল তাঁকে আনা হবে কলকাতায় এবং সম্পন্ন করা হবে শেষকৃত্য।
আরও পড়ুন…..‘ভারতীয় হিন্দু হিসেবে গর্ববোধ করি’ ধর্মান্তকরণের ইস্যুতে অর্ণবকে স্পষ্ট জবাব যোগী আদিত্যনাথের !
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। গত ৩ জুন হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন মুকুল রায় অবশ্য বিজেপিতেই ছিলেন। এই সাক্ষাৎ থেকেই রাজনৈতিক মহলে একটা জল্পনা শুরু হয়েছিল। অবশ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুল রায় দুজনেই এই সাক্ষাৎ এক সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হিসাবে জানিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীকালে দেখা যায়, সপুত্র তৃণমূলে যোগ দেন BJP সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। অসুস্থ কৃষ্ণাকে দেখতে এসেছিলেন ফিরহাদ হাকিম সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হওয়ায় তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চেন্নাই। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে প্রাথমিক একমো সাপোর্ট সহ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চেন্নাইয়ে। ব্রেইন ডেথ হওয়ায় এক ব্যাক্তির ফুসফুসও খোঁজা চলছিল তাঁর জন্য। তবে শেষ বাঁচানো গেল না তাঁকে। চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে পরলোক গমন করলেন কৃষ্ণা রায়।