ভয়াবহ বজ্রপাতে মৃত্যু ৬, হাসপাতালে ভর্তি অনেকে
মুর্শিদাবাদ: বজ্রপাতে মৃত্যুমিছিল যেন শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদে। শনিবার রাতে ২ মহিলা শ্রমিক সহ মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একাধিক।
প্রসঙ্গত, সদ্যই উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১১৬ জনের। বিহারে মারা গিয়েছেন ৯২ জন। বাকি ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল যে শনিবার থেকে বৃষ্টির দাপট বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে। পূর্বাভাস অনুযায়ী সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদ জেলায়। বিকেলের পর তীব্রতা বাড়ে বর্ষণের এবং সেই সঙ্গে তুমুল বাজ পড়া শুরু হয়।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে সাগরদিঘির বিশ্বনাথপুরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিক বিকেলের পর চাষের জমি থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন।
সেই সময় আচমকাই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। বাঁচার জন্য চাষের জমির পাশে একটি ডিপ টিউবওয়েলের ঘরে আশ্রয় নেন জমির মালিক সহ ৫ জন। কিছুক্ষণ পর মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে দফায় দফায় বজ্রপাত হতে থাকে।
বাজ পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সমর মণ্ডল (৩০), ভারতী মণ্ডল (৪০), শিবরাম মাহাতো (৪৭)— এই তিনজন শ্রমিক। গুরুতর জখম হয়েছেন জমির মালিক রাজুবালা মণ্ডল এবং তেতত্রী মাহাতো।
তাঁদের প্রথমে সাগরদিঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাতের দিকে অবস্থার অবনতি হলে হলে ২ জনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ জেলার আর এক প্রান্ত ভরতপুরে কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফেরার পথে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জন গ্রামবাসীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ৩ জনের নাম ইমতিয়াজ আলম (২০), মতিচাঁদ আলি (৩৮) এবং শেফালি শেখ (৫৮)। ইমতিয়াজ এবং মতিচাদঁ এই ২ জনের বাড়ি ভরতপুর থানার তালগ্রাম গ্রামে।
আর মৃত মহিলার বাড়ি ভরতপুর থানার জোড়গাছি গ্রামে। ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তিনজনের দেহ।