প্রেমে প্রত্যাখ্যান, অবশেষে আত্মঘাতী নাবালিকা
নদিয়া: দিদির বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আত্মঘাতী হল বোন। শুক্রবার রাতে এই খবর শোনার পর শোকে ভেঙে পড়েছে মৃতার বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুরের বাগানিপাড়ায়। ঘটবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
জানা গিয়েছে, হবিবপুরের পানপাড়া এলাকার বাসিন্দা গোপাল দেবনাথ। তাঁর ছোটো মেয়ে জয়া দেবনাথ (১৭) এই বছর মাধ্যমিক পাস করে এবং হবিবপুরের স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হবিবপুরের একটি ছেলেকে পছন্দ করত জয়া। ছেলেটির নাম উজ্জ্বল। তাঁকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল জয়া, কিন্তু ছেলেটি সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তারপর থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিকভাবে কষ্টে ভুগছিল জয়া। দিদির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েও তার মনমরা ভাব কাটেনি।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ দিদির বাড়িতে শোয়ার ঘরের ফ্যানের সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় জয়া। ওই ঘর থেকে তাঁর নিজের হাতে লেখা একটা সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
পাশের ঘরে দিদি জামাইবাবু থাকলেও তাঁরা কিছু আন্দাজ করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন পুলিশকে। শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ অনেক ডাকাডাকির পরও জয়া দরজা না খুললে জামাইবাবু তপন বিশ্বাস দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। তখনই তিনি সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় শ্যালিকার মৃতদেহ দেখতে পান।
খবর পেয়ে শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। সেখানে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি রানাঘাট থানার সঙ্গে আলোচনা করেই তদন্তের কাজ এগোনো হবে বলে জানায় শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার।
জানা গিয়েছে, জয়ারা তাঁরা ৩ বোন। ৩ বোনের মধ্যে জয়ার বড় বোনও পারিবারিক অশান্তির জেরে দু’বছর আগে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। এই ঘটনার পিছনে আসল সত্যি কী, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।