পেশায় শিক্ষক, নেশায় শিল্পী! কুর্নিশ টিচার্সকে
নদিয়া: নদিয়ার শান্তিপুর শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া স্ট্রিটের বাসিন্দা শুভজিৎ দে, বয়স ২৬ বছর।পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি না পেয়ে গৃহশিক্ষকতার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বাবা স্বর্ণশিল্পের কাজ জানতেন, কিন্তু দুই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর বয়সের ভারে সংসারের খরচ জোগাতে পারছিলেন না তিনি।
সেই কারণে শুভজিৎ টিউশন করে সামান্য অর্থ উপার্জন করে সংসারের কাজে লাগায়। কিন্তু, লকডাউনে সেই পেশাতেও ভাটা পড়ল। ছোটবেলা থেকে আর্থিক অনটনের জন্য সেই ভাবে কোথাও আঁকা বা হাতের কাজ সেখানি শুভজিৎ। কিন্তু লকডাউনে গৃহবন্দি হওয়ার পর থেকে পুরনো প্রতিভার রোমন্থন করার সুযোগ পায়।
ছবি আঁকার সঙ্গে মাটি দিয়ে বিভিন্ন রকম মূর্তি, ঠাকুর বানাতে শুরু করে সে। তবে আকার-আকৃতিতে খুব ছোটো। দু-এক জন বন্ধুর সহযোগিতায় সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ব্যবসায়িক গ্রুপে আপলোড করায়। তার হাতের কাজ পছন্দ করে ২ জন দুটি ঠাকুরের বানানোর অর্ডারও দেন।
শুভজিৎ-এর মা ছন্দা দেবী জানান, “ছোটবেলা থেকেই ওর মধ্যে প্রতিভা লক্ষ্য করতাম! কিন্তু আর্থিক অনটনের জন্য কোনদিন ভালো জায়গায় শেখাতে পারেনি। তবে আমার বিশ্বাস ও একদিন এই পেশায় সুনাম করবে। তাঁর স্ত্রী মমতা দে বলেন, “সংসারের কাজের ফাঁকেই স্বামীর প্রতিভা বিকাশের জন্য হাত লাগান তাঁর কাজে”।
শুভজিৎ জানায়, “অনেক কিছুই করতে ইচ্ছা করে, অর্থাভাবে টিউশন করতে গিয়ে সময় পাইনা, তবে দুজন অর্ডার দেওয়ার পর থেকে মানসিক জোর পেয়েছি, শুধু শখ নয় পেশা হিসেবে জোর দেবো এবার থেকে”।