নদিয়া: রাস্তায় ধস নামার ফল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদিয়ার হাঁসখালি থানার ঘাগারচর সেতু। সেই কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেতু। সেতু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত দু’দিন যানবাহন থেকে শুরু করে পায়ে হেঁটে চলাচল, সব বন্ধ। তাই কারণে সমস্যায় পড়েছেন আশেপাশের প্রায় ৩০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। দরকারি কাজ মেটাতে ঘুরপথে অনেকটা যেতে হচ্ছে তাঁদের।
ঘাঘারচর সেতুর একপাশে বাদকুল্লা, অন্যদিকে বগুলা। বগুলা থেকে কৃষ্ণনগরের দিকে বাদকুল্লা যাওয়ার জন্য এবং বাদকুল্লা থেকে হাঁসখালি ব্লক অফিসে একেবারে কম সময়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। বাদকুল্লা ও বগুলা, দুটি এলাকা কৃষিপ্রবণ হওয়ার কারণে প্রচুর যানবাহন চলাচল করে এই সেতুর উপর দিয়ে।
কয়েক দশক আগে এই ঘাঘার খালের উপর দিয়ে প্রায় কুড়ি ফুট সেতু তৈরি করেছিল তৎকালীন সরকার। আশেপাশের ডহর বুইচা, মণ্ডলঘাট, বাপুজিনগর, পেরুয়া, দোসতিনা- সহ অনেক গ্রামের মানুষ বাদকুল্লা থেকে হাঁসখালি ব্লক অফিসে যাতায়াত করেন। ওপারের হাঁসখালি থেকে এপারে বাদকুল্লার দিকে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার মানুষ এবং পণ্যবাহী ছোটখাট যানবাহন চলাচল করে।
বর্তমানে সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে এই সেতুর উপর দিয়ে মানুষ ও গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রাজকুমার সাহার অভিযোগ, ‘ব্যবসার কাজে বাদকুল্লা থেকে হাঁসখালি ব্লক অফিসে আসতে হয়। কিন্তু বর্তমানে সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে অনেকটা ঘুরে যেতে হচ্ছে। এতে সময়ের পাশাপাশি খরচও বেড়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা শচীন মণ্ডল জানান, ‘সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নদশায় ছিল। গত শুক্রবার একটি লরি ব্রিজে উঠতেই বেশ খানিকটা অংশ বসে যায়। বর্তমানে বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে সেতুটি। যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। অবিলম্বে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে সমস্যায় পড়তে হবে এলাকার কৃষিজীবী মানুষদের।’
বেথনা গোবিন্দপুরের প্রধান মিঠু বিশ্বাস জানান, ঘটনার পর তিনি এলাকায় সরেজমিনে গিয়েছিলেন। তারপর প্রশাসনের সবাইকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিকল্প একটি ভাবনা তৈরি করা হয়েছে।
সেতুটি ভেঙে পড়ার পরে অবশ্য ব্লক প্রশাসন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেতুর দু’দিকের রাস্তা। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সেতু মেরামতির দাবি করেছে সাধারণ মানুষ।