কলকাতাঃ ফের নন্দীগ্রামে প্রত্যাবর্তন তাঁর। পূর্ব মেদিনীপুরে সভা করতে গিয়ে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
২০১১ সালের বিধানভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে তৎকালীন বামফ্রন্ট শাসনের পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন। বেশ কিছু মানুষ নিখোঁজ ছিল বলে তৃণমূলের দাবি। সেই সময়েই নন্দীগ্রামকে রাজ্য রাজনীতির মূল ইস্যু হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছিলেন এই মমতাই।
নন্দীগ্রামে ঘরের মেয়ে মমতা নামেই পরিচিত তিনি। নন্দীগ্রামে এতোটাই জনপ্রিয় যে তাকে হারানো কার্যত প্রায় অসম্ভব। এবারের নির্বাচনেও নন্দীগ্রামই রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠল।এবারের ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে যদি বিপক্ষকে হারিয়ে দেন তাহলে বিপক্ষের তুলনায় এক পা এগিয়ে যাবে।
এই সব জেনেও ঝুঁকিটা কেন নিচ্ছেন মমতা? বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটযুদ্ধে অনেক সময়ই এই ধরনের কৌশল নিয়ে থাকেন সেনাপতিরা। বিপক্ষের শক্ত জমিতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ জানান তাঁরা। মমতা এখানে সেই কাজটাই করেছেন। শুভেন্দুর সাথে ভোটে লড়ে তাঁকে ও বিজেপি-কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি । তাতে কর্মীরাও উজ্জীবীত হবেন। নন্দীগ্রাম জিতে বিজেপি-কে প্রথম গোলটা দেওয়ার রণকৌশল নিয়েছেন মাননীয়া।
রাজ্যে মমতা ক্ষমতাই আসার পর একটি বিধানসভা এবং দুইটি লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু সহ গোটা অধিকারী পরিবারকে সমস্ত শক্তি দিয়েছেন মমতা। নন্দীগ্রামে সভা করলে শুভেন্দুকেই সেখানে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। আর আজ সেই শুভেন্দুই যখন এখন বিজেপিতে। ফলে নন্দীগ্রামকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে নন্দীগ্রামের পাশাপাশি ভবানীপুর থেকেও লড়বেন তিনি । অর্থাৎ, জোড়া সিটে লড়াই করবেন। শুভেন্দু চলে যাওয়ার পরে নন্দীগ্রাম যে তাঁর চ্যালেঞ্জ, তা স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।