বাঙালি তথা দেশবাসীর আবেগের আরেক নাম নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কিংবদন্তী সাহসী নেতা, যিনি দেশবাসীকে অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করা ও স্বাধীনতা কেউ দেয়না, তা ছিনিয়ে নিতে হয়, এই ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তাঁর জীবনের এক একটি মুহূর্ত ও তাঁর চিন্তাধারা সেই সময় থেকে আজও মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগায়। সেই বিশ্ববরেণ্য বঙ্গ সন্তানের এমন কিছু বাণী আমরা আজ জানব, যা আজও মানুষের চলার পথে নানান বিভ্রান্তি দূর করার উপায়।
১. স্বাধীনতা নিয়ে নেতাজীর বক্তব্য:
দেশজুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলন পর্বে সুভাষচন্দ্র বসু একটি নীতিই অনুসরন করে গেছেন। যেটি হল স্বাধীনতা কেউ দেয়না, তা ছিনিয়ে নিতে হয়। যা আজকের যুব সমাজের কাছে নিজেদের অধিকার আদায় করে নেওয়ার একটি হাতিয়ার হিসেবে দন্ডায়মান।
২. অন্যায়ের সাথে আপস নয়:
আজ যুব সমাজ যখন কোনটা ভালো কোনটা ঠিক, কোন পথে যাবে আর কোন পথে যাবেনা, তা নিয়েই বিভ্রান্ত। ঠিক তখনই নেতাজীর একটি বাণী, ‘নিজের প্রতি সত্য হলে বিশ্বমানবের প্রতি কেউ অসত্য হতে পারে না ‘
৩. জীবনদর্শন:
কোন পথে আর কেমন চিন্তা ধারাকে অনুসরণ করে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, আজকের যুব সমাজ যখন তা ভাবতে ভাবতেই সময় অতিবাহিত করছে, তখনই নেতাজীর একটি উক্তি উপলব্ধির প্রয়োজন। তা হল – ‘কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।’
৪. দেশের প্রতি ভালোবেসার টানে দেশকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে আজকের যুব সমাজকে যেগুলি অনুপ্রেরণা জোগায়, তাঁর মধ্যে নেতাজীর একটি বাণী আজও প্রানজ্জ্বল, তা হল – “ভারত ডাকছে। রক্ত ডাক দিয়েছে রক্তকে। উঠে দাঁড়াও আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। অস্ত্র তোলো!….যদি ভগবান চান , তাহলে আমরা শহিদের মৃত্যু বরণ করব।’
৫. বেঁচে থাকা টিকে থাকার মধ্যে পার্থক্য:
আজকের যুব সমাজ যখন নিজের জীবনে বেঁচে থাকতে বা ‘টিকে’ থাকতে নানান ব্যক্তিগত-সামাজিক প্রতিযোগী। ঠিক তখনই মানুষকে বহুকাল আগেই বেঁচে থাকা ও টিকে থাকার মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে গেছেন নেতাজী। তিনি বলেছেন , ‘মানুষ যতদিন বেপরোয়া, ততদিন সে প্রাণবন্ত ‘।