লড়াই ২৪ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তর কলকাতাসহ ২১টি জেলার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে পদ থেকে সরিয়ে দিলেন। যা বর্তমানে তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর নজিরবিহীন একটি ঘটনা বলাই যায়।
স্কুল শিক্ষা দপ্তর এক ধাক্কায় ২১ জন চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায়; স্বভাবতই জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দুই দিনাজপুর, মালদহ, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পুর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি ও বীরভূমের চেয়ারম্যানকে সরানো হয়েছে।
Read more……………ভরা উৎসবের মরশুমেই ফের বাড়তে চলেছে পেঁয়াজ সহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম!
সম্প্রতি এই সিদ্ধান্তের কথা স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই চেয়ারম্যানদের ওপর নিয়োগ ও পরিচালনা সংক্রান্ত কাজে খুশি নয় কর্তৃপক্ষ। তাই তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হল। কাজে গতি আনতেই এই সিদ্ধান্ত।
তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের নির্দেশ ছাড়াই জেলায় বেশ কিছু প্রাথমিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সেই সব স্কুলের শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করা হচ্ছে। চেয়ারম্যানরা অসহযোগিতা করছেন। ফলে, প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তবে, স্কুল শিক্ষা দপ্তরের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বহু শিক্ষক–শিক্ষিকা।
এই প্রসঙ্গে ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’–এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “কোভিডের জন্য দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ। পঠনপাঠন বন্ধ। পড়ুয়ারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টিতে কোনও নতুন পরিকল্পনা করতে পারেননি_ ওই চেয়ারম্যানরা। তাই তাঁদের সরিয়ে কাজে গতি আনতে চায় সরকার। এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।”