লড়াই ২৪ ডেস্ক: দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখল করে একাধিক সুমধুর বার্তা দিয়েছিল তালিবানরা। ২০ বছর আগের ভাবমূর্তিকে ঠিক করতে চেয়েছিল তারা। এবার তা যে একান্তই আইওয়াশ কিনা তা কেউ জানে না। ২০ বছর আগের ভাবমূর্তিকে ঠিক করতে মিডিয়ার সামনে একাধিক বক্তব্য রেখেছে তালিবানরা। যদিও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এক অন্য রুপ। দেশের প্রশাসনিক পরিকাঠামো নিয়ে কথা বলতে গিয়েই বেরিয়ে এল আসল রুপ। জানানো হল দেশে থাকবে না কোনো গণতন্ত্র। কাউন্সিলর মাধ্যমেই চলবে দেশ।
আরও পড়ুন………………..দু’চাকার গাড়ি ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর! পারমিট ছাড়াই বৈদ্যুতিক টু হুইলার
কট্টরপন্থী এই গোষ্ঠীর সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা বসবেন মসনদে। তালিবানের উচ্চপদস্থ নেতা ওয়াহিদুল্লা হাসিমি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের সেনাকে কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হবে। তিনি জানান, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যেমন ভাবে তালিবানি শাসন চলতো এখনো সেই ভাবেই চলবে। হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদাই হবেন কাউন্সিলরের সর্বেসর্বা। তাঁর পদ প্রেসিডেন্টের সর্বতুল্য। কাউন্সিলের প্রতিদিনের কাজকর্ম সামলাবেন মুল্লা উমর। হাইবাতুল্লার পদের নীচে থাকবেন তিনজন ডেপুটি। তাঁরা হলেন, মুল্লা ওমরের ছেলে মৌলবী ইয়াকুব, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হাক্কানির নেতা সিরাজুদ্দিন হাক্কানি এবং আবদুল ঘানি বরাদর। এই বরাদরি তালিবানি গোষ্ঠীর প্রধান।
ওয়াহিদুল্লা হাসিমি বলেন, ‘ঠিক কী ভাবে শাসন পরিকাঠামো চলবে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তবে কোনোরকম গণতন্ত্র এখানে চলবে না। আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর ভিত্তি নেই। সুতরাং এটা নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই যে আফগানিস্তানে কোন ধরণের পরিকাঠামো চলবে। শরিয়ত আইন মেনেই চালানো হবে শাসন ক্ষমতা।