কলকাতাঃ প্রচার কৌশলে বড় বদল পদ্মফুলের; রাজ্যের নেতাদের সঙ্গ এড়িয়েই বাংলায় সফর চান মোদী-শাহ।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে চতুর্থ সমাবেশ করলেন। আর সেই চতুর্থ সমাবেশে এক বড় ফারাক নজরে এল। মোদীর মঞ্চে দেখা গেল না রাজ্য নেতৃত্বের কোনও প্রথম সারির মুখকে। সমাবেশ সামলালেন দলের যুব সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
এগরায় অমিত শাহর সভাতেও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে।বিজেপি-র মঞ্চে ‘নবাগত’ শিশির অধিকারী থাকলেও রাজ্য নেতৃত্বের তেমন কারও দর্শন মিলল না। এমনকি, শিশিরের মেজপুত্র নন্দীগ্রামের প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীও ছিলেন না। অথচ মাত্র ২০ কিলোমিটার দূর পটাশপুরেই রবিবার সভা ছিল শুভেন্দুর। মঞ্চে অমিতের মূল সঙ্গী ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা শাহ যে কারও সভাতেই থাকতে পারতেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কারণ, বাঁকুড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের মাঝের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে রবিবার কর্মসূচি ছিল তাঁর। কিন্তু কোনও সভাতেই দেখা যায়নি তাঁকে। তিনি প্রথমে খড়্গপুর গ্রামীণ ও পরে গড়বেতায় সভা করেছেন। সন্ধ্যায় দলের ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে অবশ্য অমিতের সঙ্গে ছিলেন দিলীপ। কিন্তু কোনও সমাবেশে নয়।
এটাই পদ্মশিবিরের নতুন প্রচার কৌশল বলে মনে করছেন অনেকেই। মোদী বা শাহর সভা মানেই নেতাদের ভিড় নয়। একই সময়ে আলাদা আলাদা জায়গায় প্রচার করবেন তাঁরা।