দিল্লি – শনিবার থেকে শুরু হতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার পর্ব। কিন্তু এ বিষয়ে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ভেঙ্কাটরামন রাধাকৃষ্ণনের মত, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সম্পূর্ণ তথ্য হাতে না-আসা অবধি সেই টিকা ভরসাযোগ্য নয়। টিকা নেওয়ার পর কার কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে প্রকাশ করা প্রয়োজন। ২০০৯ সালে রাইবোজোমের গঠন নিয়ে কাজ করে বায়োলজিতে নোবেল পেয়েছিলেন ভেঙ্কাটরামন রাধাকৃষ্ণন (ভেঙ্কি)।
কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা ও ট্রায়ালের তথ্য নিয়ে এর আগে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। ছাড়পত্র পাওয়ার পর তিনি বলছিলেন, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন নিয়ে অযথা তাড়াহুড়ো করছে কেন্দ্র। একই সুর শোনা গিয়েছেন বহু বিরোধী নেতার গলাতেও।ছাড়পত্র পাওয়া দুটি টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নীতি আয়োগ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হয়, দুটি ভ্যাকসিনই ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত।
সম্প্রতি আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একটি অনুষ্ঠানে ভেঙ্কি জানিয়েছেন, ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের উদ্যোগে কোভ্যাক্সিন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয়, ট্রায়ালের কোনও তথ্য নেই। সে নিয়ে তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন। নোবলজয়ীর মতামত ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিল।